প্রতীকী ছবি।
রাতে ঘুমের সময়ে আমাদের শরীর ব্যস্ত থাকে সারা দিনের সব ধকল মুছে, নতুন করে কর্মশক্তি সঞ্চয় করতে। শরীরে যা ক্ষয় হয়েছে, তা-ও এ সময়ে মেটানোর চেষ্টা করে শরীর। মস্তিষ্কও কিছু ক্ষণ কম কাজ করে বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায়। ভিতরের কিছু অপ্রয়োজনীয় জিনিস এ সময়ে বার করে দেয় মস্তিষ্ক। সে কারণেই ঘুম ভাল হওয়া জরুরি। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক তরতাজা থাকে। কারণ পর্যাপ্ত ঘুম পেলে দূরে থাকে মস্তিষ্কের নানা অসুখও।
কোন অসুখ সবচেয়ে বেশি নির্ভর করে ঘুমের উপর?
অ্যালঝাইমার্স রোগের সঙ্গে ঘুমের অভ্যাসের সরাসরি যোগ রয়েছে। ঘুমের সময়ে এক ধরনের প্রোটিন অতিরিক্ত পরিমাণে তৈরি হয়ে যেতে পারে শরীরে। তার ফলে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া, মানসিক স্থিতি হারানোর মতো সমস্যা শুরু হয়। যে প্রোটিনের কারণে এই সমস্যা হয়, তা সাধারণত জমতে শুরু করে মস্তিষ্কের একটি পাশ থেকে।
পাশ ফিরে যাঁদের ঘুমানোর অভ্যাস, তাঁদের ক্ষেত্রে অ্যালঝাইমার্সে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা কম থাকে বলে জানাচ্ছে গবেষণা। কিন্তু কী কারণে এমন হয়? ২০১৫ সালে ‘জার্নাল অব নিউরোসায়েন্স’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুযায়ী, এক পাশ ফিরে শোয়া হল সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ভঙ্গি। এই ভঙ্গিতে ঘুমাতে পারলে মস্তিষ্কের সব বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়। ফলে বর্জ্য জমে অসুস্থ হওয়ার কারণ ঘটে না।
এর পাশাপাশি, মেরুদণ্ডের বিশ্রামের জন্যও পাশ ফিরে ঘুম বেশ উপযোগী। তাতে পিঠ, মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ড অনেকটা বিশ্রাম পায়। মেরুদণ্ড ও মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেলে মানসিক কোনও সমস্যা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা কমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy