এক্সইসি-র অধিকাংশ উপসর্গের সঙ্গেই মিল রয়েছে করোনার পূর্ববর্তী ১৯টি রূপ এবং উপরূপের। ছবি : সংগৃহীত।
নতুন করে খবরে ফিরছে করোনা ভাইরাস। নতুন রূপের নাম এক্সইসি। বিশ্ব জুড়ে স্বাস্থ্যবিদেরা নতুন করে মাথা ঘামাতে শুরু করেছেন করোনার এই এক্সইসি রূপ নিয়ে। কারণ, ইতিমধ্যেই কিছু কিছু দেশে এর প্রভাব দেখা দিতে শুরু করেছে। বলা হচ্ছে, এক্সইসি তার পূর্বজ ‘ওমিক্রন’ এবং ‘ডেল্টা’র থেকেও বেশি দ্রুত গতিতে ছড়ানোর ক্ষমতা ধরে। কিন্তু এক্সইসি মানবদেহের জন্য কতটা ক্ষতিকর? বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তার উত্তর এখনও স্পষ্ট বলা যাচ্ছে না। কারণ, এক্সইসির ক্ষমতা নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। তবে করোনার ওই নতুন রূপ নিয়ে পাঁচটি জরুরি তথ্য এখনই জেনে নেওয়া যেতে পারে।
১। কোভিড-১৯ এক্সইসি রূপের বৈশিষ্ট্য কী?
যে কোনও ভাইরাসই নিরন্তর নিজেকে বদলাতে থাকে। ডেল্টা এবং ওমিক্রনের মতো এক্সইসি-ও তৈরি হয়েছে করোনার স্পাইক প্রোটিনে বদল ঘটিয়ে। ভাইরাস স্বাস্থ্যের উপরে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা নির্ভর করে ওই বদলের উপরেই। স্বাস্থ্যবিদেরা চিন্তিত, করোনার নতুন পরিবর্তিত রূপ এক্সইসি আরও দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে। ওমিক্রনের কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে এক্সইসিতে। তবে স্বাস্থ্যবিদদের অনুমান, সংক্রমণের ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ভাঙার ক্ষেত্রেও কিছু পরিবর্তন এসেছে করোনার নতুন রূপে। সেগুলি কী কী, তার উত্তর এখনও গবেষণাধীন।
২। এক্সইসি সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে
কিছু কিছু দেশে আচমকাই খানিকটা বেড়েছে এক্সইসি-র সংক্রমণ। আমেরিকা, ব্রিটেন, ভারতের মতো কিছু দেশ এক্সইসি-র সংক্রমণের উপরে নজর রাখছে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে গবেষণাও শুরু করেছে। অনেকেই বলছেন, যে সমস্ত দেশে টিকাকরণের হার কম সে সব দেশেই বেশি ছড়াচ্ছে এক্সইসি। তবে ওই মন্তব্যের পাল্টা যুক্তি হিসাবে আবার কেউ কেউ বলছেন, এ সব আসলে করোনার টিকার বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা। বিষয় হল, দু’রকম বক্তব্যই আপাতত দাবি। এর কোনওটিরই প্রামাণ্য নথি নেই।
৩। উপসর্গ কী কী?
আপাতত এক্সইসি-র অধিকাংশ উপসর্গের সঙ্গেই মিল রয়েছে করোনার পূর্ববর্তী ১৯টি রূপ এবং উপরূপের। জ্বর, গালায় আড়ষ্ট ভাব, একঘেয়ে কাশি, ক্লান্তিবোধ, পেশি বা গাঁটে ব্যথা, মাথা ধরা বা মাথা যন্ত্রণা। তবে নতুন রূপের সংক্রমণে খাবারের স্বাদ বা গন্ধ চলে যাওয়ার উপসর্গ ততটা প্রকট নয়। কিছু কিছু রোগীর এর সঙ্গে ডায়েরিয়া, গা গুলোনো ভাবও দেখা দিতে পারে।
৪। কী ভাবে আটকাবেন?
স্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, প্রথমেই যেটা জরুরি, সেটা হল এক্সইসি-র অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা। টিকাকরণ সব সময়ই ওই ধরনের ভাইরাস থেকে কিছুটা হলেও বাড়তি রক্ষাকবচ দেবে। এ ছাড়া ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরা, হাত ধোয়া-স্যানিটাইজ়ার ব্যবহারের মতো স্বাস্থ্যকর অভ্যাস বজায় রাখা, জনবহুল এলাকা এড়ানো, প্রয়োজনে পরীক্ষা করানো সব সময়েই সাহায্য করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy