কুণ্ডলিনীর জাগরণ সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব না-ও হতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
কর্মব্যস্ত জীবনে আলাদা করে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবার সময় হয়তো অনেকেই পান না। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করতে প্রতি দিন খরচ করে বডি মাসাজ কিংবা স্পা করাও সম্ভব নয়। তা হলে কী করতে পারেন? শরীর এবং মনের ক্লান্তি দূর করতে নিয়মিত অভ্যাস করতে পারেন কুণ্ডলিনী যোগাসন। ভারতে নানাবিধ যোগচর্চার প্রচলন রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল ‘কুণ্ডলিনী’। এই কুণ্ডলিনী আসলে এক প্রকার শক্তি, যা প্রতিটি মানবশরীরেই রয়েছে। তবে সুপ্ত ভাবে। বিশেষ কিছু প্রক্রিয়ায় তাকে জাগিয়ে তোলার অভ্যাসই হল কুণ্ডলিনী যোগচর্চা। যোগাসন, ধ্যান এবং জপ— এই তিনের সমন্বয়ে তৈরি এই যোগচর্চা ভারতীয় সাধনধারার সব ক’টি মার্গেই স্বীকৃত। কুণ্ডলিনীর জাগরণ সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব না-ও হতে পারে। কিন্তু এই যোগচর্চায় যে কোনও মানুষই পেতে পারেন প্রাণের আরাম, আত্মার শান্তি। কুণ্ডলিনী যোগে তিনটি আসন ভীষণ গুরুত্বপুর্ণ। জেনে নেওয়া যেতে পারে সেগুলি সম্পর্কে।
এই ধরনের যোগচর্চায় কী কী আসন করতে হয়?
১) বকাসন
হাঁটু মুড়ে বসুন। মাথা নামিয়ে এনে মাটিতে ঠেকান। এবার হাতের তালু থেকে কনুই পর্যন্ত অংশে ভর দিয়ে পা দু’টি একসঙ্গে রেখে হাঁটু মোড়া অবস্থাতেই মাটি থেকে তুলুন। আপনার দেহের সম্পূর্ণ ভর থাকবে হাতের ট্রাইসেপসের উপর। এই অবস্থায় কিছুক্ষণ থাকার পরে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
২) বালাসন
হামাগুড়ি দেওয়ার ভঙ্গিতে মেঝেতে বসুন। এ বার আস্তে আস্তে সারা শরীর পিছনে নিয়ে গিয়ে নিতম্ব পায়ের গোড়ালির উপর রাখুন। কপাল মাটিতে ঠেকান। হাত দু’টো পিছনে নিয়ে গিয়ে তালু উল্টো করে পায়ের কাছে রাখুন। মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কমাতে সহায়তা করে এই যোগাসন। দেহে রক্তসঞ্চালনের প্রক্রিয়াকেও স্বাভাবিক রাখে।
৩) সুখাসন
ম্যাটের উপর পা ছড়িয়ে সোজা হয়ে বসুন। এ বার ডান পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে বাঁ ঊরুর উপর এবং বাঁ পা হাঁটু থেকে ভাঁজ করে ডান ঊরুর উপর রাখুন। এর পর দুই হাঁটুর উপর দু’হাত টান টান করে রাখুন। এই অবস্থায় চোখ বন্ধ করে বসে স্বাভাবিক ছন্দে শ্বাস-প্রশ্বাস নিন। ২ থেকে ৩ মিনিট পর্যন্ত এই অবস্থায় থাকতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy