গরম ভাত হোক বা পরোটা কিংবা কড়া করে টোস্ট— এক টুকরো মাখন খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে দেয় কয়েক গুণ। কিন্তু লক্ষ্য যদি হয় ওজন ঝরানো, তা হলে ফ্যাটযুক্ত মাখনে ইতি টানতে হয় বৈকি!
দুধ থেকে তৈরি মাখনে যথেষ্ট পরিমাণ ফ্যাট থাকে। তাই তা মেপেবুঝেই তা খেতে হয়। আবার কোলেস্টেরল, হার্টের সমস্যা হলে সেই খাওয়াতেও বিধি-নিষেধ জোটে।
আরও পড়ুন:
কিন্তু হলুদ মাখনের বদলে, যদি পাউরুটিতে মাখানোর জন্য ভিন্ন স্বাদের অন্য রঙের স্বাস্থ্যকর মাখন মেলে, খাবেন কি? অনলাইনে খুঁজলেই দেখা মিলবে কুমড়ো বীজের মাখনের। দেখতে সবুজ রঙের। সাধারণ মাখনের চেয়ে দামও কিছুটা বেশি। তবে, উপকারিতা যথেষ্ট।
ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ কুমড়ো বীজ স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। এতে থাকা পুষ্টিগুণই মেলে কুমড়ো বীজের মাখনে।
কী সেই উপকারিতা?
· কুমড়ো বীজে আছে জ়িঙ্ক এবং ম্যাগনেশিয়াম। এই দুই খনিজই শরীরের জন্য অত্যন্ত দরকারি। দৈনন্দিন খনিজের চাহিদা পূরণে সাহায্য করে বীজের তৈরি মাখন।
· এতে থাকা উচ্চ মানের ফাইবার হজমশক্তি উন্নত করে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
· কুমড়োর বীজে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড। যা অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণে সহায়তা করে। একই সঙ্গে মেলাটোনিন আর সেরোটোনিন নিঃসরণে সহায়তা করে। যা শরীর, মন তরতাজা করে তুলতে সাহায্য করে।
চাইলে বাড়িতেও বানিয়ে নিতে পারেন কুমড়ো বীজের মাখন।
উপকরণ
এক কাপ কুমড়োর বীজ (সবুজ)
৪-৫ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
পদ্ধতি: সরাসরি কুমড়ো থেকে বীজ সংগ্রহ করলে সেটি দেখতে সাদা হবে। এটি কুমড়ো বীজের আবরণ। সেটি ভাঙলে সবুজ দানা পাওয়া যায়। তবে দোকানে সরাসরি কুমড়োর সবুজ বীজ পাওয়া যায়। তা দিয়ে বানালে মাখন সবুজ রঙেরই হবে। প্রথমেই কুমড়ো বীজ শুকনো কড়াইয়ে নাড়িয়ে চাড়িয়ে নিন।
তারপর সেটি মিক্সারে বা ফুড প্রসেসরে ঘুরিয়ে নিন। প্রথমে বীজ গুঁড়ো হবে। তার পর বীজ থেকে নিঃসৃত তেলেই সেটি প্রথমে মণ্ডের আকার নেবে। ধীরে ধীরে তা ক্রিমের মতো হয়ে যাবে। এতে প্রয়োজন মতো অলিভ অয়েল যোগ করতে পারেন। স্বাদের জন্য সামান্য নুন যোগ করা যায়।
ঘরোয়া মাখনে তেল, নুন— সবটাই নিজের ইচ্ছামতো ব্যবহার করা যায়। ঘরে তৈরি মাখন কাচের শিশিতে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। স্মুদি, টোস্ট, স্যান্ডুউইচে এই মাখন খেতে পারেন।