ভেগান ডায়েটেরও কিছু খারাপ দিক আছে। ছবি: সংগৃহীত।
পুষ্টির সমৃদ্ধ উৎস আমিষ খাবার হলেও, পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন দীর্ঘ দিন সুস্থ থাকতে নিরামিষ খাবার খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। আবার অনেকের মতে, প্রাণীজ প্রোটিন না খেলে শরীরের অনেক প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি হয়। তবে নিরামিষ-আমিষের এই দ্বন্দ্বের মাঝেই ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভেগান খাদ্যাভ্যাস। শরীরের যত্ন নিতে এই ধরনের ডায়েটের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। মাছ, মাংস, ডিম তো বটেই, দুগ্ধজাত কোনও খাবারও এই ডায়েটে নেই। এ ধরনের ডায়েট করলে অনেক খাবারই খাওয়া যায় না। ভেগান ডায়েট করলে শরীর সুস্থ থাকে তো বটেই এমনকি, নিয়ন্ত্রণে থাকে ওজনও। কিন্তু এই ধরনের ডায়েটের কিছু অস্বাস্থ্যকর দিকও রয়েছে। ভেগান ডায়েট শুরু করার আগে সেগুলি জেনে নেওয়া জরুরি।
প্রোটিনের ঘাটতি
উদ্ভিদজাত খাবারে প্রোটিন থাকে। কিন্তু শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটাতে তা পর্যাপ্ত নয়। মাছ, মাংস, ডিম, দুধে প্রোটিনের পরিমাণ সর্বোচ্চ। অথচ এই ডায়েটে সেগুলি খাওয়া মানা। দীর্ঘ দিন ধরে প্রাণীজ প্রোটিন না খেলে শরীরে প্রোটিনের ব্যাপক ঘাটতি তৈরি হতে পারে। প্রোটিনের অভাবে শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে।
পুষ্টির ঘাটতি
সুস্থ থাকতে প্রোটিন অপরিহার্য। তার মানে এই নয় যে, বাকি পুষ্টির কোনও ভূমিকা নেই। আয়রন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২-ও শরীরের যত্ন নেয়। অথচ ভিগান ডায়েট করলে এগুলির ঘাটতি দেখা দেয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি— সবেতেই এই পুষ্টিগুণগুলি শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকা জরুরি। ভেগান ডায়েটে করলে সব সময়ে তা সম্ভব হয় না।
হজমের গোলমাল
দুগ্ধজাত খাবারে প্রোবায়োটিক উপাদানের পরিমাণ বেশি। প্রোবায়োটিক হজমের গোলমাল থেকে পেটের সংক্রমণ, পেটের যাবতীয় সমস্যা রুখতে সত্যিই কার্যকরী। ভেগান ডায়েট করার ফলে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া যায় না। ফলে প্রোবায়োটিক উপাদানের অভাবে শরীরও সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে পারে না। ফলে পেটের গোলমাল, বদহজম লেগেই থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy