প্রতীকী ছবি।
স্বাস্থ্যরক্ষায় জোর দেওয়ার কথা মনে রাখেন অনেকে। দিন দিন সে দিকে নজর দেওয়ার ইচ্ছাও বাড়ছে। কী খাবেন এবং কী খাবেন না, তার দিকেও মন দিচ্ছেন। নিজেদের মতো করে খাওয়ার নিয়ম তৈরি করছেন। কিন্তু সে নিয়ম কি ঠিক না ভুল? তার থেকে কতটা ক্যালোরি ঢুকছে শরীরে? সে কথা সব সময়ে বোঝা যায় না। সারা দিন হয়তো খুব নিয়ম মেনে, ক্যালোরি মেপে খেলেন। কিন্তু বুঝতেই পারলেন না আসলে তার চেয়ে অনেক বেশি ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করল।
এমন কোনও পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে হলে জানা দরকার কী ধরনের ভুল করা যাবে না। মূলত কয়েকটি অভ্যাসে বদল আনা দরকার।
১) মন খারাপ বা অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকলেই কিছু খেতে ইচ্ছা করে কারও কারও। কিন্তু তার থেকে সমস্যা বাড়ে। তখন হাতের কাছে যা থাকে, তা-ই খেয়ে ফেলেন অনেকে। ক্যালোরির হিসাব রাখার কথা মনে থাকে না। ফলে নির্দিষ্টি সময়ের বাইরে টুকটাক খাবার খেয়ে ফেলার অভ্যাসে বদল আনতে হবে।
২) কাজের চাপে রান্না করার সময় হয় না। ফলে বাড়িতেও অনেক ধরনের প্যাকেটবন্দি খাবার মজুত রাখেন কেউ কেউ। সব সময়ে ক্যালোরির মাপ সে সব খাবারে ঠিক করে বলা থাকে না। বার কয়েক খেলেই নিয়ম ভাঙা হয়ে যায় সহজে।
৩) মাছ-সব্জি-ফল-দুধ খাওয়া শরীরের জন্য ভাল বলেই জানেন অধিকাংশে। তবে তার মানে এমন নয় যে সে সব খাবার যে কোনও পরিমাণে খাওয়া যাবে। স্বাস্থ্যকর খাবারও মাপ মতো না খেলে অতিরিক্ত ক্যালোরি ঢুকবে শরীরে।
৪) স্যালাডে স্বাদ আনতে নানা ধরনের ড্রেসিং রাখেন বাড়িতে। তাতে স্যালাড খাওয়া হয় ঠিকই। কিন্তু ক্যালোরি মোটেও নিয়ন্ত্রণে থাকে না। স্যালাড ড্রেসিংয়ে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি ক্যালোরি থাকে।
৫) বারবার টুকটাক খাওয়া বন্ধ করতে কাজের ফাঁকে বাইরে থেকে কেনা কফি খেয়ে থাকেন কেউ কেউ। তাতে সেই একই ফাঁদে পা পড়ে। কফিতে ব্যবহৃত ক্রিমে প্রয়োজনের চেয়ে অনেকটাই বেশি ক্যালোরি থাকে। যা অজান্তেই প্রবেশ করে শরীরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy