Advertisement
E-Paper

ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসে আক্রান্ত দেবিনা! এই রোগের প্রকোপ ঠেকাতে কী কী নিয়ম মানতে হবে?

অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি জানিয়েছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসে আক্রান্ত তিনি। এই রোগের প্রকোপ ঠেকাতে কী কী নিয়ম মেনে চলতে হবে?

Debina Bonnerjee

বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জার দাপট, রোগ ঠেকাবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২৩ ১৬:৪৯
Share
Save

স্বামী গুরমিত ও দুই মেয়ে লিয়ানা ও দিবিশাকে নিয়ে সদ্য শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরেছেন অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিদেশভ্রমণ করে আসার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী। সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি জানিয়েছেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসে আক্রান্ত তিনি। তাই বাধ্য হয়েই দুই মেয়ে ও স্বামীর থেকে এখন আলাদা থাকছেন তিনি। এই ভাইরাস কতটা ক্ষতি করতে পারে শরীরের?

দু’বছরের অতিমারি পর্বে নিজেকে বেশ কিছুটা গুটিয়ে রাখার পর আবার দাপটে ফিরতে চলেছে ইনফ্লুয়েঞ্জা বা ফ্লু ভাইরাস। মোট চার ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস হয়— এ, বি, সি এবং ডি। তবে এ ও বি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের দাপটই বেশি ভারতে। টাইপ এ ইনফ্লুয়েঞ্জা অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস, এর প্রভাবে মহামারির পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। পাখির শরীর থেকে এই রোগ ছড়ায়। অপর দিকে টাইপ বি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের অনেক উপরূপ রয়েছে। টিকাকরণের মাধ্যমে এই রোগের ঝুঁকি এড়ানো যায় না। টাইপ এ, বি-র তুলনায় বেশি মারাত্মক।

উপসর্গ:

জ্বর, গায়ে-গলায় ব্যথা থাকে। সর্দি-কাশি বেশি হয়। বমি হতে পারে। পেটখারাপ হয় না সাধারণত। শরীর দুর্বল থাকে। স্বাদ-গন্ধ যায় না। রুচি না-ও থাকতে পারে। শ্বাসকষ্ট হয় না। মানুষের হাঁচি, কাশির মাধ্যমেই এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাস মারাত্মক ছোঁয়াচে। তাই আক্রান্ত রোগীকে নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।

এই রোগ থেকে বাঁচতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন?

১) ফ্লু প্রতিরোধের জন্য শিশুদের এবং পূর্ণবয়স্কদের আলাদা দু’টি টিকা রয়েছে। প্রতি বছর সময় মতো সেই টিকাগুলি নেওয়া জরুরি। তবে ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার পর এই টিকা নিলে বিশেষ লাভ হবে না। আগেই নিতে হবে।

২) হাত ধোয়ার ক্ষেত্রে জল বা সাবানের কোনও বিকল্প নেই। তবু যদি সব জায়গায় জল, সাবানের ব্যবস্থা না থাকে, তখন স্যানিটাইজ়ারের উপর ভরসা করতে হবে। কিন্তু হাত না ধুয়ে শুধু খাবার খাওয়া নয়, চোখ-মুখ বা নাকও স্পর্শ করা যাবে না।

Flu

মাস্ক পরার অভ্যাস পুনরায় শুরু করতে হবে। ছবি: শাটারস্টক।

৩) রাস্তাঘাটে বা ভিড়ের মধ্যে সংক্রামিত রোগীরা মিশে থাকেন। তাঁদের আলাদা করে চেনার উপায় থাকে না। তাই তাঁদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। না হলে মাস্ক পরার অভ্যাস পুনরায় শুরু করতে হবে।

ফ্লু-তে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি শিশুদের। বড়রা নানা রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে পারলেও ছোটদের এই সব নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করানো খুব কঠিন ব্যাপার। তার উপর অপুষ্টিজনিত সমস্যা থাকলে এই রোগের সঙ্গে মোকাবিলা করা মুশকিল হয়। চিকিৎসকদের মতে, কোভিড পরবর্তী সময়ে শিশুদের ফ্লুয়ে আক্রান্তের হার প্রায় ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বড়দের নানা রকম বিধিনিষেধের বেড়াজালে আটকানো গেলেও ছোটদের কিন্তু বোঝানো মুশকিল। তাই তাদের সময় মতো টিকা দেওয়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাওয়াদাওয়া, পর্যাপ্ত জল বা তরল খাওয়া, নিয়মিত শরীরচর্চা করানোর অভ্যাস করাতে হবে।

Debina Bonnerjee Influenza

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}