দিনের বেলা ঘুমোনোর অভ্যাস রয়েছে? ছবি: সংগৃহীত।
দুপুরে খাওয়াদাওয়ার পরই বিছানা যেন টানে। বয়স্কদের মধ্যে দিবানিদ্রার অভ্যাস খানিক বেশি। মূলত, অখণ্ড অবসর এবং একঘেয়েমি থেকেই এই অভ্যাস গড়ে ওঠে। তবে দিনের বেলা বেশি ঘুমকে বদভ্যাসই বলছেন চিকিৎসকেরা। এমনকি, দিবানিদ্রার অভ্যাস ‘ডিমেনশিয়া’ বা স্মৃতিভ্রমের মতো মারাত্মক অসুখ ডেকে আনতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।
আগের রাতে ‘পার্টি’ হয়েছে কিংবা, অফিসের কাজের চাপে ঘুম হয়নি। ছুটির দিন সকালে সেই ঘুম পুষিয়ে নেবেন ভেবেছেন। কিন্তু, রাতের ঘুমের সঙ্গে তার কোনও তুলনাই হয় না। চিকিৎসকদের দাবি, শরীরের সার্কাডিয়ান ক্লক গড়বড় হলেই মারাত্মক সব অসুখ চেপে ধরতে পারে। তার মধ্যে একটি হল ‘ডিমেনশিয়া’। দিনের বেলা বেশি ঘুমের অভ্যাস থাকলে তা কাটিয়ে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।
বুধবার সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে হায়দরাবাদের এক নিউরোলজিস্ট, সুধীর কুমারের একটি পোস্ট। তিনি সাফ জানাচ্ছেন, যদি ভেবে থাকেন যে, রাতের না-হওয়া ঘুম দিনের বেলায় পুষিয়ে নেবেন, তবে ভুল করছেন। হায়দরাবাদের একটি নামকরা বেসরকারি হাসপাতালের স্নায়ু বিশেষজ্ঞ সুধীরের মতে, দিনের বেলা যতই ঘুমোন, সেটা রাতের ঘুমের সমতুল্য হতে পারে না। বরং, এই অভ্যাস ডিমেনশিয়া-সহ অন্যান্য মানসিক রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।
তিনি এর স্বপক্ষে একাধিক সমীক্ষার উদাহরণ দিয়েছেন। যেখানে মূলত নাইট শিফটে কাজ করা কর্মীদের নিয়েই সমীক্ষা হয়েছে। পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রাতে ঘুমের সুযোগ নেই বলে ওই কর্মীদের সিংহভাগই মানসিক চাপ, ওবেসিটি, ভুলে যাওয়া ইত্যাদি শরীরের নানা অসুবিধায় ভুক্তভোগী।
এর কারণ হল, ঘুমের সময় মস্তিষ্ক থেকে প্রোটিন বর্জ্য পরিষ্কার হয় বেশি। কারণ, ওই সময় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে গ্লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম। এই সিস্টেমে গড়বড় হলেই স্মৃতিভ্রমের মতো অসুখ গেড়ে বসতে পারে শরীরে। ভাল ঘুমের ঘাটতি ছাড়াও বয়স, দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বা অভ্যাস, ওবেসিটি, স্লিপ অ্যাপনিয়া বা ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, ডিপ্রেশন ইত্যাদিও গ্লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। তাই রাতে ভাল ঘুমের কোনও বিকল্প নেই বলে দাবি চিকিৎসকদের।
ডিমেনশিয়া আসলে কী?
কারও সামগ্রিক বা আংশিক স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়া, কার্য-কারণ সম্পর্কযুক্ত ভাবনা চিন্তার অসুবিধা, সিদ্ধান্ত নেওয়ার অক্ষমতার মতো সমস্যাগুলিকে বিজ্ঞানের ভাষায় ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রম বলা হয়।
‘ল্যানসেট’ পত্রিকার একটি তথ্য অনুযায়ী, ২০৫০ সালের মধ্যে ভারতে ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন প্রায় এক কোটি চোদ্দ লক্ষ মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy