খেজুরের বীজ কী ভাবে খেতে হয়? ছবি: সংগৃহীত।
রক্তে বাড়তি শর্করা! তাকে নিয়েই তো যত গোলমাল। নিজে মিষ্টি হলেও শরীরের জন্য ডায়াবিটিস মোটেই মধুর নয়। নানা রোগের অনুঘটক এই ডায়াবিটিস। তাকে বশে রাখতে কত কী করতে হয়! ডায়েট, শরীরচর্চা থেকে ঘরোয়া টোটকা— সবই চলে নিয়ম করে। কেউ কেউ আবার করলার রস, জামের বীজের উপরেও ভরসা রাখেন। পুষ্টিবিদ এবং নেটপ্রভাবী সুষমা পিএস বলছেন, সেই তালিকায় এ বার যোগ হয়েছে খেজুরের বীজও।
খেজুরে শর্করার পরিমাণ বেশি। ডায়াবেটিকদের জন্য এই ফল খাওয়া বিপজ্জনক। কিন্তু খেজুরের বীজের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজ়কে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও খেজুরের বীজের মধ্যে রয়েছে ফাইবার, যা হজম সংক্রান্ত গোলমাল নিরাময়েও সহায়তা করে। বিপাকহার ভাল রাখতে এই বীজের জুড়ি মেলা ভার। খেজুরের বীজের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালের সমতা বজায় রাখে। ফলে সহজে কোষ নষ্ট হয় না। কিন্তু এই খেজুরের বীজ খাবেন কী ভাবে?
কী ভাবে খাবেন খেজুরের বীজ?
খেজুর খাওয়ার পর তার দানাটি ভাল করে ধুয়ে নিন। বীজের গায়ে যেন খেজুরের কোনও অংশ লেগে না থাকে। এ বার কয়েকটা দিন বীজগুলিকে রোদে রেখে দিন শুকোনোর জন্য। কড়াইতে বীজগুলি দিয়ে বেশ কিছু ক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। কড়াইতে নাড়াচাড়া করার পর স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তার পর মিক্সিতে খেজুরের বীজগুলি দিয়ে মিহি করে গুঁড়িয়ে নিন। খেজুরের বীজ গুঁড়ো করে কাচের বায়ুরোধী পাত্রে ভরে রাখুন। এ বার সেখান থেকে আধ চা চামচ পরিমাণ নিয়ে ঈষদুষ্ণ জলে গুলে খেয়ে নিন। প্রতি দিন এই অভ্যাসটি বজায় রাখলে উপকার পাবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy