উদ্বেগ কমবে কোন পথে? প্রতীকী ছবি
কথায় কথায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যান? অল্পেই শুরু হয় উদ্বেগ? মোটেই ভাল লক্ষণ নয়। সুস্থ জীবন পেতে, সুস্থ শরীরের পাশাপাশি প্রয়োজন সুস্থ মনও। অনেক সময় মানসিক উদ্বেগের পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে গভীর মানসিক সমস্যাও। এই ধরনের সমস্যা বেশি দিন থাকলে, মনোবিদের পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়। তবে সমস্যা কম থাকলে, বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করতে পারে।
১। লিখে রাখুন: মানসিক উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই পরামর্শ দেন মনের কথা লিখে রাখার। কোন কোন কারণে মনের উপর চাপ বাড়ছে বা উদ্বেগ বাড়ছে— তা লিখে রাখতে পারলে উপকার মিলতে পারে। বুঝতে পারা যায় নিজের মনের গতিপ্রকৃতিও।
২। ঘুমে নজর: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বেড়ে যেতে পারে যে কোনও মানসিক সমস্যাই। অনিদ্রা ও মানসিক সমস্যার মধ্যে একটি চক্রাকার সম্পর্ক রয়েছে। অর্থাৎ একটি সমস্যা অন্যটিকে ডেকে আনে। একই ভাবে ঘুম কমে গেলে উদ্বেগ বাড়ে। তাই দৈনিক অন্তত ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম চাই-ই চাই।
৩। অ্যারোমাথেরাপি: অ্যারোমাথেরাপিতে মূলত গন্ধের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা হয়। এই কাজে বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি ছড়ানোর যন্ত্র, ইনহেলার, স্নান করার বিশেষ ধরনের নুন, সাবান ও তেল ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে ল্যাভেন্ডার তেল ব্যবহার করে উপকার পান অনেকে।
৪। মদ্যপান নৈব নৈব চ: উদ্বেগ বাড়লে অনেকেই নেশার আশ্রয় নেন। অনিয়ন্ত্রিত মদ্যপান উল্টে বাড়িয়ে দিতে পারে মানসিক সমস্যা। বিশেষ করে যদি আসক্তি তৈরি হয়, তবে মনের অবস্থা আরও খারাপ হয়। তাই উদ্বেগের সময় অ্যালকোহল এড়িয়ে চলাই সমীচীন।
৫। কফিও নয়: কফিতে থাকে ক্যাফিন। এই উপাদানটি স্নায়ুকে আরও উত্তেজিত করে দেয় এবং উদ্বেগের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি কফি খেলে অনিদ্রার সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে। তাই মদের মতোই, উদ্বেগ বাড়লে কফির থেকে দূরে থাকুন।
তবে মনে রাখবেন, এ সবই ঘরোয়া এবং একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের সমাধান। উদ্বেগের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে অবশ্যই মনোবিদের পরামর্শ নিয়ে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা করাই বাঞ্ছনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy