ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা মিলেছে ডায়েরিয়া ও পেট খারাপের মতো উপসর্গের। ছবি: সংগৃহীত
কোভিড স্ফীতিতে ক্রমাগত রূপ বদল করেছে ভাইরাস। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদল এসেছে উপসর্গেও। বিশেষত ওমিক্রনের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে এমন কিছু উপসর্গ যেগুলিকে প্রাথমিক ভাবে কোভিডের উপসর্গ বলে মনেই করা হয়নি। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে রোগীর দেহে দেখা গিয়েছে পৌষ্টিকতন্ত্রের সমস্যা, যা পূর্ববর্তী রূপগুলির ক্ষেত্রে ছিল বেশ বিরল।
ব্রিটেনের একটি গবেষণা বলছে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা মিলেছে ডায়েরিয়া ও পেট খারাপের মতো উপসর্গের, যা পূর্ববর্তী রূপগুলির ক্ষেত্রে খুব বেশি দেখা যায়নি। পাশাপাশি ক্ষুধামান্দ্যও ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বেশ প্রবল বলেই জানিয়েছেন গবেষকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্ষুধামান্দ্য দেখা গেলে আক্রান্তের পক্ষে খাওয়া দাওয়া করা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ফলে যথাযথ পরিমাণ খাবার খাওয়া সম্ভব হয় না রোগীর পক্ষে। এর ফলে দেহে পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। আবার পর্যাপ্ত জল না পান করলে এরই সঙ্গে যুক্ত হয় জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন। এমনকি কোভিড মুক্তির পরেও বেশ কিছু দিন এই সমস্যা থেকে যেতে পারে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।
এই ধরনের সমস্যা সাধারণত সঠিক ভাবে খাওয়া দাওয়া করলে ও পর্যাপ্ত জল খেলে ঠিক হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মনে রাখতে হবে সবার শরীর এক নয়। কোভিডকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে উঠতে গেলে সঠিক পুষ্টি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। ফলে পুষ্টির অভাবে গুরুতর ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। পর্যাপ্ত জলের অভাবও ডেকে আনতে পারে বড় বিপদ। তাই এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই বিচক্ষণতার পরিচয় বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy