মর্জি মতো অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার বিপদ ছবি: সংগৃহীত
কোভিড স্ফীতিতে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও হাসপাতালে যাওয়ার অনুপাত আপাতত বেশ কম। বিশেষত ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে যাঁরা উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ যুক্ত তাঁদের অনেকেই থাকছেন নিভৃতবাসে। আর নিভৃতবাসে থাকাকালীন নিজেরাই খাচ্ছেন নানা ধরনের ওষুধ।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজেরাই মুড়ি মুড়কির মতো ওষুধ খেলে যে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি এ কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বিশেষত চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাব কিন্তু হতে পারে বেশ খারাপ। আনন্দবাজার অনলাইনের ইউটিউব ও ফেসবুক লাইভে ‘ভরসা থাকুক’ অনুষ্ঠানে এসে চিকিৎসক দেবাশিস দত্ত জানালেন, ‘‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহৃত হয় ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ প্রতিরোধে, আর কোভিড হল একটি ভাইরাস ঘটিত রোগ।’’ দেবাশিসের সাফ কথা,অ্যান্টিবায়োটিক বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যাকটিরিয়ার সংক্রমণ দেখা গেলে তবেই দেওয়া হয়।
কোভিড স্ফীতিতে সামান্য জ্বরের মানুষ আগেভাগেই অ্যান্টিবায়োটিক খেতে শুরু করছেন। দেবাশিস মনে করিয়ে দেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেমন অ্যান্টিবায়োটিক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় তেমনই অযথা অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ডেকে আনে একাধিক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া। তাঁর মতে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার পরে ডায়ারিয়া, পেটের গোলযোগের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার আগে সুচিন্তিত পরামর্শ নেওয়াই বাঞ্চনীয়। তিনি বলেন ‘‘এখন যে কোভিড দেখা যাচ্ছে, তার জন্য সাধারণ প্যারাসিটামলই যথেষ্ট। যদি শরীর খারাপ হয়, সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অন্য কোনও ওষুধের কথা ভাবা যেতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy