ওমিক্রন শিশুদের ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে। ছবি: সংগৃহীত
দেশ এবং রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ক্রমশই বাড়াচ্ছে চিন্তার পারদ। করোনার আখের দু’টি পর্ব এবং করোনা-স্ফীতির এই পর্যায়েও বার বার প্রাপ্তবয়স্কদের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কোভিড শিশুদের উপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে, তা আড়ালেই থেকে গিয়েছে খানিকটা। সেই সঙ্গে শিশুদের করোনা সংক্রমিত হওয়া নিয়ে কিছু বিভ্রান্তিও আছে। তাহলে কি শিশুদের করোনা সংক্রমণের ভয় নেই? তা একেবারেই নয়। এর আগের পর্যায়ে অনেক শিশুই সংক্রমিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক করোনা স্ফীতিতেও সেই সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। বিশেষ করে করোনার নতুন রূপ ওমিক্রন শিশুদের ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে।অন্তত এমনই মত আমেরিকার শিশু চিকিৎসকদের একাংশের। মাথায় রাখা প্রয়োজন, ১৫ বছরের কম বয়সিদের কিন্তু এখনও করোনার টিকা দেওয়া হয়নি। ফলে অনেক শিশুই আক্রান্ত হয়ে পড়ছে। আক্রান্ত শিশু এবং তার পরিচর্যার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরও প্রয়োজন বাড়তি সুরক্ষার।
করোনা আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে কী কী সুরক্ষাবিধি মানবেন?
১) শিশু করোনা আক্রান্ত হলে স্নানঘর লাগোয়া সম্পূর্ণ আলাদা একটি ঘরে রাখুন।
২) বাড়ির বয়স্ক সদস্য, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ওঅন্যান্য সদস্য যাঁদের কো-মর্বিডিটি আছে এবং অন্য বাচ্চাদের সংস্পর্শে আক্রান্ত শিশুটিকে আনবেন না।
৩) প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়ান।
৪) শিশু যদি স্তন্য পান করে, সেক্ষেত্রে মায়েদের উচিত ভাল করে স্যানিটাইজার হাতে মেখে মাস্ক পরে, তারপর খাওয়ানো।
৫) বাচ্চা আক্রান্ত থাকাকালীন খেয়াল রাখুন বাড়িতে যেন বাইরে থেকে কেউ না আসেন।
৬) আক্রান্ত বাচ্চাদের খাওয়ার জন্য আলাদা পাত্র রাখুন। খাওয়ানোর পর সেগুলি ভাল করে পরিষ্কার করে এমন জায়গায় রাখুন, যাতে অন্য কেউ তা ব্যবহার না করেন।
৭) আক্রান্ত শিশুর ব্যবহার করা জামাকাপড়, বিছানার চাদর, তোয়ালে প্রতিদিন সাবান দিয়ে কেচে দিন।
আক্রান্ত শিশুর দেখভালের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির সুরক্ষাবিধি
১) আক্রান্ত শিশুর পরিচর্যার সময়ে অবশ্যই মাস্ক পরে থাকুন। ৬-৭ ঘণ্টা অন্তর তা বদলে নিন।
২) আক্রান্ত শিশুর সর্দি, হাঁচি লালা পরিষ্কার করার আগে হাতে অতি অবশ্যই গ্লাভস পরে নিন।
৩) একই গ্লাভস প্রতিদিন ব্যবহার করবেন না।
৪) কোনও কারণে মাস্ক ভিজে গেলে বা নোংরা হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে বদল করে নিন।
৫) আক্রান্তের ঘরে থাকা আসবাবপত্র ধরলে হাত ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। আক্রান্ত শিশুর শৌচালয় ব্যবহার না করাই ভাল। একান্তই প্রয়োজন পড়লে আগে ভাল করে ধুয়ে অ্যান্টিসেপ্টিক জাতীয় ফিনাইল ছড়িয়ে মাস্ক পরে, তারপর ব্যবহার করুন।
৬) অ্যালকোহল আছে এমন স্যানিটাইজার এবং হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy