মলের সঙ্গে রক্তপাত এবং মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন কোলন ক্যানসারের বা মলাশয়ের ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে। ছবি: শাটারস্টক।
প্রায় রোজই শৌচালয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ নিয়ে বাড়ির লোকের হাসি-ঠাট্টা, কখনও বা অভিযোগও মুখ বুজে শুনতে হয়। এরই মধ্যে মলের সঙ্গে যদি রক্তপাত হয়, তা হলেই বুক দুরু দুরু শুরু! অনেকে আবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা ভেবে অবহেলা করেন। অথচ মলের সঙ্গে রক্তপাত এবং মলত্যাগের অভ্যাসের পরিবর্তন কোলন ক্যানসারের বা মলাশয়ের ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।
ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে এই অসুখের ঝুঁকি হলেও ইদানীং খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, শারীরিক কসরতের জন্য সময়ের অভাব, বাড়তি ওজন, ঘরে বানানো টাটকা খাবারের পরিবর্তে প্রক্রিয়াজাত খাবারদাবার খাওয়া ও অতিরিক্ত মানসিক চাপ— এ সব কারণেই অল্প বয়স থেকেই কোলোরেক্টাল ক্যানসার হানা দিচ্ছে মানুষের শরীরে। প্রাথমিক উপসর্গ দেখা গেলেই ঘরোয়া টোটকার উপর ভরসা না করে এক জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
যদি মাঝবয়সে মলত্যাগের অভ্যাস বদলে যায়, ডায়েরিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কিছুতেই সারতে না চায়, তখন অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এই ক্যানসারের উপসর্গ হিসাবে অনেক সময়ে মলের সঙ্গে রক্ত বেরোতে পারে, বেশির ভাগ মানুষই যা পাইল্স বলে ভুল করেন। তাই সতর্ক থাকুন। অর্শ রোগীদের ক্ষেত্রে যে রক্তপাত হয়, তা সাধারণত লাল। অপর দিকে কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে এই রক্ত কালচে রঙের হয়।
কোন কোন উপসর্গ দেখলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে?
১) তলপেটে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যথা এই রোগের উপসর্গ হতে পারে।
২) কোলন ক্যানসারে আক্রান্ত হলে অন্ত্র থেকে রক্তপাত হয়, তাই রক্তাল্পতা তৈরি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা থাকে। রক্তাল্পতা ডেকে আনে ক্লান্তি।
৩) দিনে কত বার মলত্যাগের প্রয়োজন অনুভূত হয়, আচমকা তার তারতম্য ঘটলে কোলন ক্যানসারের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে।
৪) মলের রং পরিবর্তন, পেটে গ্যাসের সমস্যা কিছুতেই না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৫) সারা ক্ষণ বমি বমি ভাব, গা গুলিয়ে ওঠা, ওজন কমে যাওয়াও কোলন ক্যানসারের উপসর্গ হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy