স্বাস্থ্যগুণের বিচারে এগিয়ে কে? ছবি: সংগৃহীত।
মুরগির মাংস না কি পনির— কোনটি বেশি উপকারী তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে অহর্নিশ। পুষ্টিবিদদের মতে, শরীরের যত্ন নিতে দুটোই অত্যন্ত উপকারী। পনির ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা রিউমাটয়েড আর্থরাইটিসের ঝুঁকি কমায়। পনির রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে ব্রঙ্কাইটিস, হাঁপানি, সর্দি-কাশির মতো রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারে শরীর। বিশেষ করে শিশুদের জন্য পনির খুবই উপকারী।
স্বাস্থ্যগুণের দিক থেকে পিছিয়ে নেয় মুরগির মাংসও। প্রোটিনে ভরপুর এই মাংস হাড় মজবুত ও শক্তিশালী করে তোলে। ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে প্রোটিন রয়েছে ৩১ গ্রাম। পনিরে অন্যন্য স্বাস্থ্যকর উপাদান থাকলেও, প্রোটিনের পরিমাণ তুলনায় কম। মুরগির মাংসে রয়েছে ভিটামিন বি১২, নিয়াসিনের মতো কিছু উপাদান, যা স্নায়ু সক্রিয় রাখে এবং হজমের সমস্যাও দূর করে।
তবে শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ পর্যাপ্ত রাখতে পনির পাতে রাখতেই হবে। কারণ দুগ্ধজাতীয় এই খাবারে ক্যালশিয়াম রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। দাঁত এবং হাড় ভাল রাখতে ক্যালশিয়াম অত্যন্ত জরুরি।
ওজন কমাতে চাইছেন? তা হলে কিন্তু চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারেন মুরগির মাংসের উপর। এ ক্ষেত্রে পনির কিন্তু কোনও কাজে আসবে না। কারণ পনিরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি। ওজন কমানোর পথে ক্যালোরি একটা বড় বাধা। ১০০ গ্রাম মুরগির মাংসে ১৬৫ ক্যালোরি থাকে। সেই সঙ্গে ১০০ গ্রাম পনিরে ক্যালোরি থাকে ২৬৫-৩২০ গ্রাম।
ঠিক এই কারণগুলির জন্যেই অনেকে বুঝতে পারেন না পনির না কি মুরগির মাংস, শরীরের খেয়াল রাখতে কোনটি বেছে নেবেন? পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, দুটোই স্বাস্থ্যকর। এক একটি খাবারের স্বাস্থ্যগুণ ভিন্ন। শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দুটোই স্বাস্থ্যকর। সুস্থ থাকতে দুটো খেতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy