কী ভাবে প্রতিরোধ করা যায় জরায়ুর ক্যানসার। ছবি: সংগৃহীত
সারা পৃথিবী জুড়ে মহিলাদের মধ্যে যত ধরনের ক্যানসার দেখা যায় তার মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে সারভিক্যাল ক্যানসার বা জরায়ু মুখের ক্যানসার রয়েছে চতুর্থ স্থানে। আর এই ক্যানসার রোগীর এক চতুর্থাংশই হলেন ভারতীয় নারীরা। প্রতি বছর গড়ে এক লক্ষ ২২ হাজারেরও বেশি নারী এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন। অথচ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একটু সচেতন হলেই প্রতিরোধ করা যেতে পারে এই মারণরোগ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ক্যানসার অন্যান্য ক্যানসারের মতো নয়। কারা এই রোগে ভবিষ্যতে আক্রান্ত হতে পারেন সচেতন থাকলে তা জানা যেতে পারে বহু আগে থেকেই। তাঁদের দাবি প্রায় ৯৯% জরায়ুমুখের ক্যানসারের জন্য দায়ী একটি ভাইরাস যার নাম, হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস বা এইচপিভি। এই ভাইরাস শরীরে প্রবেশের প্রায় ১৫ থেকে ২০ বছর পর শরীরে দেখা দেয় এই ক্যানসার। ফলে সচেতন থাকলে ক্যানসার হওয়ার অনেক আগে থেকেই আটকানো যেতে পারে তার আশঙ্কা।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন যে এই ভাইরাসের শতাধিক রূপের মধ্যে ১৪টি রূপ ক্যানসারের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমানে গার্ডাসিল নামক টিকার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা যেতে পারে এর মধ্যে সাতটি রূপকেই। তবে যৌন সংসর্গ শুরুর আগেই নারীদের এই টিকা নিয়ে নেওয়া বাঞ্চনীয়।
শুধু টিকাই নয়, জরায়ু মুখের ক্যানসারের বিরুদ্ধে হাতিয়ার হতে পারে প্যাপ স্মিয়ার নামক পরীক্ষাও। অত্যন্ত সহজ এই পরীক্ষায় জরায়ু মুখের কিছু কোষ সংগ্রহ করে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা হয় যে সেই কোষগুলির মধ্যে ভবিষ্যতে ক্যানসার তৈরির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে কি না। ২১ থেকে ৬৫ বছর বয়সি নারীরা প্রতি দু’বছর অন্তর এই পরীক্ষা করিয়ে নিলেই থাকতে পারেন নিশ্চিন্তে। অর্থাৎ সামান্য সচেতনতাই এই মারণ রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে আপনাকে বা আপনার প্রিয়জনকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy