রক্তচাপের সঙ্গে নুনের সম্পর্ক ঠিক কেমন? ছবি: সংগৃহীত।
হার্ট ভাল রাখতে চাইলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আদ্যিকাল থেকে শুনেছেন খাবারে নুন কম খাওয়ার কথা। নোনতা খাবার বেশি খেলেও নাকি রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আবার, নুন কম খেলেও তো বিপদ! রক্তে সোডিয়াম, পটাশিয়াম-এর মাত্রা কমে গেলে হঠাৎ শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম বিঘ্নিত হতে পারে। রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ঠিক কী পরিমাণ নুন খাওয়া নিরাপদ?
চিকিৎসকেরা বলেন, শরীরে সমস্ত উপাদানের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি। তবে যাঁদের রক্তচাপ বেশি, তাঁদের অবশ্যই মেপে নুন খেতে হবে। এক দিনে ১৫০০ থেকে ২৩০০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত নুন খাওয়া যায়। তবে কেউ যদি তা ১০০০ মিলিগ্রামে কমিয়ে আনতে পারেন, তা হলে অবশ্যই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে এবং সামগ্রিক ভাবে হার্ট ভাল থাকবে। তেমনটাই জানিয়েছে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন।
আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন-এর একটি জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, রোজকার খাবারে নুন কম খেলে অবশ্যই তার ইতিবাচক প্রভাব রক্তচাপের উপর পড়বে। ৫০ থেকে ৭৫ বছর বয়সি, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন, এমন ২১৩ জনকে নিয়ে একটি সমীক্ষা করেন গবেষকেরা। এঁদেরকে এক সপ্তাহ ধরে দিনে এক চা চামচেরও কম পরিমাণ নুন খাওয়ানোর পর তাঁরা দেখেছেন, রক্তচাপের ক্ষেত্রে এটি ওষুধের মতোই কাজ করেছে।
রক্তচাপের সঙ্গে নুনের সম্পর্ক ঠিক কেমন?
সোডিয়াম ক্লোরাইড বা নুনে সোডিয়ামের পরিমাণ ৪০ শতাংশ এবং ক্লোরাইডের পরিমাণ ৬০ শতাংশ। শারীরবৃত্তীয় কাজকর্ম পরিচালনা করতে গেলে প্রতি দিন কম-বেশি ৫০০ মিলিগ্রাম মতো সোডিয়াম শরীরে গেলেই কাজ চলে যায়। এর চেয়ে বেশি সোডিয়াম শরীরে গেলেই তখন বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। শরীরে তরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে ‘হাইড্রোস্ট্যাটিক প্রেশার’ও বাড়তে থাকে। যা রক্তবাহিকার দেওয়ালে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। ফলে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বেড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy