ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগে মাশরুম ভীষণ উপকারী। ছবি-প্রতীকী
ভুলো মনের মানুষদের নিয়ে ব্যঙ্গবিদ্রূপের শেষ নেই। আপাত ভাবে এই সমস্যা তুচ্ছ মনে হলেও, ভুলে যাওয়ার ব্যামো সব সময়ে মজার বিষয় না-ও হতে পারে। কখনও কখনও স্মৃতিভ্রংশের সমস্যার সূচনা হয় এ ভাবেই। বিজ্ঞানের ভাষায় বলে ‘ডিমেনশিয়া’। চিকিৎসকদের মতে, এই রোগটি কার্যত গুপ্তঘাতকের মতো আসে। শুধু ভারতেই নয়, বিশ্ব জুড়েই বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ।
খাদ্যাভ্যাসে বদল আনলে এই রোগ খানিকটা হলেও ঠেকিয়ে রাখা যায়। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মাশরুম এ ক্ষেত্রে ভীষণ উপকারী। মাশরুমের মধ্যে রয়েছে বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ, যা মস্তিষ্কে স্নায়ুর বৃদ্ধি বাড়ায় ও নিউরোটক্সিক স্টিমিউলি কমাতে সাহায্য করে। ফলে ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমার্সের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। তাই স্মৃতিশক্তি বাড়াতে হলে পাতে মাশরুম রাখা যেতেই পারে।
ভারতীয়দের মধ্যে মাশরুম খাওয়ার চল আগে সে ভাবে না থাকলেও, এখন প্রায় সব বড় মল পেরিয়ে কাঁচা সব্জির বাজারেও পাওয়া যায় মাশরুম। ফলে ধীরে ধীরে ভারতের হেঁশেলে ঢুকে পড়েছে মাশরুম।
স্মৃতিশক্তি বাড়াতে কী ভাবে কাজ করে মাশরুম?
মাশরুমে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মস্তিষ্কে নতুন স্নায়ুকোষের বিকাশ ঘটায়। মস্তিষ্কে টক্সিন পদার্থের ক্ষরণ আটকায়। প্রদাহ থেকে রক্ষা করে।
আর কী কী গুণ রয়েছে মাশরুমের?
১) মাশরুমে ভরপুর মাত্রায় ফাইবার থাকে। মাশরুমে বিটা গ্লুকান নামক এক ধরনের দ্রবণীয় ফাইবার পাওয়া যায়, যা কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে। হৃদ্যন্ত্রকে ভাল রাখে।
২) ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে বিটা গ্লুকান। রোজ খাওয়ার পাতে মাশরুম রাখলে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমে।
৩) মাশরুমে রাইবোফ্লাভিন, নিয়াসিন এবং প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড পাওয়া যায়। রাইবোফ্লাভিন লোহিত রক্তকণিকার স্বাস্থ্য রক্ষা করে, নিয়াসিন পাচনতন্ত্র ভাল রাখে আর প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড যত্ন নেয় স্নায়ুতন্ত্রের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy