তেঁতুলের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ সচল রাখতেও সহায়তা করে। ছবি: সংগৃহীত
আলুকাবলি কিংবা ফুচকার জল— তেঁতুল ছাড়া অসম্পূর্ণ। তেঁতুল না পড়লে স্বাদটাই যেন খোলে না। তেঁতুল মুখে দিলে তো বটেই, অনেকের আবার তেঁতুলের নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। কারও কারও তেঁতুলের টফি সবচেয়ে প্রিয়। মোট কথা ফুচকা, আলুকাবলি, পাপড়িচাটের মতো চটপটা খাবারের স্বাদ বাড়াতে তেঁতুলের জুড়ি মেলা ভার। টক খেতে ভালবাসেন যাঁরা, তেঁতুল তাঁদের কাছে স্বর্গ।
তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এই ফল। শরীরের যত্ন নিলেও দাঁতের জন্য কি আদৌ স্বাস্থ্যকর তেঁতুল? চিকিৎসকদের মতে, তেঁতুলে রয়েছে ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি৩, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামে সমৃদ্ধ তেঁতুল শরীরের অন্দরের অনেক সমস্যার নিমেষে সমাধান করে। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট গুণ মস্তিষ্কের প্রতিটি কোষ সচল রাখতেও সহায়তা করে। নানা ধরনের সংক্রমণের বীজ সমূলেই বিনষ্ট করে তেঁতুল। শরীরের কিছু সমস্যার সমাধানে তেঁতুল সত্যিই সিদ্ধহস্ত।
সব কিছুর ভাল এবং খারাপ— দু’টি গুণই থাকে। তেঁতুলও ব্যতিক্রম নয়। তেঁতুলে অম্লের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে মাত্রাতিরিক্ত হারে তেঁতুল খাওয়ার ফলে এই ফলে অ্যাসিড পাচনতন্ত্রের ক্ষতি করে। এ ছাড়া অ্যালার্জির সমস্যা থাকলেও তেঁতুল খেলে তা মারাত্মক আকার ধারণ করে। তেঁতুলে থাকা অ্যাসিডের কারণে রক্তজমাট বেঁধে যাওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। আর এই তেঁতুলের এই অ্যাসিডই ক্ষতি করে দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে দেয়।
এনামেল অর্থাৎ, দাঁতের বাইরের স্তর এবং সবচেয়ে শক্ত একটি স্তর, যা দাঁতকে সব ধরনের জীবাণু থেকে রক্ষা করে। দাঁত ভাল থাকে এনামেলের গুণে। তেঁতুল সেই এনামেলেই আঘাত করে। ক্রমশ ক্ষয় করতে থাকে। একান্তই তেঁতুল খেতে হলে খাওয়ার পরেই দাঁত মেজে নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিংবা তেঁতুল খাওয়ার পরেই মুখ কুলকুচি করে নিতে হবে। খুব ভাল হয় যদি এক বার নুন গরম জলে কুলকুচি করা যায়। এটি অনেক বেশি উপকারী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy