মেদ ঝরান, আবার শরীরও ঠান্ডা রাখুন। ছবি: সংগৃহীত।
গরমের দাপট বাড়ছে। গলদঘর্ম হতে জিমে যাওয়ার ইচ্ছে নেই মোটে। খেয়ে উঠে রাতে সামান্য হাঁটাহাটি করেন। তাতে কিন্তু যথেষ্ট ক্যালোরি পুড়বে না। তা হলে কী করবেন? অনেকেই শরীর ঠান্ডা রাখতে, ডিটক্স করতে জিরে বা ধনে ভেজানো জল খেয়ে থাকেন। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, এই পানীয় কিন্তু ক্যালোরি পোড়াতে দারুণ কাজ করে। ফলে শরীরে বাড়তি মেদ জমতে পারে না। তবে, এই পানীয় বেশি খাওয়ার সমস্যাও রয়েছে। জিরে, ধনে ভেজানো জল খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলে ইলেক্ট্রোলাইটের সমতার অভাব দেখা দিতে পারে। আবার, ধনে খেলে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। তাই এই ধরনের পানীয় খাওয়ার আগে এক বার চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
মেদ ঝরানোর এত রকম উপায় থাকতে জিরে, ধনের জলের উপর ভরসা রাখবেন কেন?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, জিরে এবং ধনে ভেজানো জল বার বার মুখ চালানোর প্রবণতা রুখে দিতে পারে। যে কারণে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমার সম্ভাবনা কমে আসবে। তা ছাড়া, বিপাকহার উন্নত করতেও সাহায্য করে এই পানীয়। এর বাইরে, জিরে, ধনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে জমা দূষিত পদার্থ বার করতে সাহায্য করে।
শরীরের আর কোন কোন উপকারে লাগে এই পানীয়?
১) হজমের সমস্যা থাকলে এই পানীয় খেতে পারেন। অম্বল, পেট ফাঁপা, গ্যাস নিরাময়ে দারুণ কাজ করে এই পানীয়।
২) বিপাকহার বাড়লে শরীরে মেদ জমার পরিমাণ কমবে। তা ছাড়া ক্যালোরি পোড়ানোর ক্ষেত্রে এই পানীয় অনুঘটকের মতো কাজ করে।
৩) ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকার বড় একটি কারণ হল, খাবার দেখলেই খেয়ে ফেলার প্রবণতা। সেই প্রবণতা অনেকটা হলেও বশে রাখে এই পানীয়।
জিরে এবং ধনে দিয়ে তৈরি বিশেষ এই পানীয় তৈরি করবেন কী ভাবে?
কাচের পাত্রে পরিমাণ মতো জল, সম পরিমাণ জিরে এবং ধনে রাত থেকে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন ওই জল সামান্য গরম করে নিয়ে ছেঁকে নিন। গ্লাসে ঢেলে তার মধ্যে এক টুকরো লেবুর রস, ১ চা চামচ মধু দিয়ে খেয়ে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy