বছর আটেক আগে আলিয়া আডবাণী নামে এক তরুণী অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দু’চোখে নিয়ে বলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন। তত দিনে অবশ্য বলিউডে আলিয়া ভট্টের রমরমা শুরু হয়ে গিয়েছে। নাম বদলে আলিয়া আডবাণী হলেন কিয়ারা। ‘এম এস ধোনি: দ্য আনটোল্ড স্টোরি’, ‘কবীর সিংহ’, ‘শেরশাহ’, ‘যুগ যুগ জিও’-র মতো ছবিতে কিয়ারার সাবলীল অভিনয় বেশ পছন্দ করেছে দর্শক। অভিনয় ক্ষমতার পাশাপাশি কিয়ারার ঝকঝকে মেদহীন চেহারাও নজর কেড়েছে তাঁর অনুরাগীদের। কী ভাবে নিজেকে এত ফিট রাখেন কিয়ারা?
ওজন কমানোর আশায় অনেকেই জিমে ভর্তি হন। শরীরচর্চায় খুব বেশি আগ্রহ না থাকলেও কেবল মেদ ঝরানোর জন্য শরীরচর্চা শুরু করেন অনেকে। শেষমেশ আগ্রহ হারিয়ে ফেলে জিমে যাওয়াই বন্ধ হয়ে যায়। কিয়ারা কিন্তু ফিট থাকার মন্ত্রে বিশ্বাসী। ফিট থাকার জন্য কেবল জিমে গিয়ে তিনি শরীরচর্চা করেন না। নিজেকে চাঙ্গা রাখতে বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করেন তিনি।

কিয়ারা মনে করেন নিজে নিজে শরীরচর্চা করলে দ্রুত সুফল আসে না, চাই দক্ষ প্রশিক্ষকও। ছবি: সংগৃহীত।
জিমে গিয়ে ভারী শরীরচর্চার পাশাপাশি নিয়মিত যোগাসন করেন কিয়ারা। শরীর ও মনকে সুস্থ রাখতে নিয়ম করে যোগাসন করা ভীষণ উপকারী। এ ছাড়া মার্শাল আর্ট ও তাইকোন্ডতেও কিয়ারার আগ্রহ আছে। ব্যস্ততার জন্য ভারী শরীরচর্চা করার সময় না পেলেও কিয়ারা কিন্তু নিয়ম করে ২০ মিনিট দৌড়ন প্রতিদিন। কিয়ারা মনে করেন নিজে নিজে শরীরচর্চা করলে দ্রুত সুফল আসে না, চাই দক্ষ প্রশিক্ষকও। এক জন প্রশিক্ষকই বলে দিতে পারেন কোন ব্যায়াম আপনার শরীরের জন্য সবচেয়ে কার্যকর হবে। পেশি মজমুত করতে যাঁরা জিমে যান আর ওজন ঝরানোর জন্য যাঁরা জিমে যান, তাঁদের কিন্তু ব্যায়াম করার ধরন মোটেই এক হবে না। প্রতিদিন একই রকম শরীরচর্চা না করে কিয়ারা বিভিন্ন ধরনের ব্যায়াম করেন। ‘আউটডোর জিম সেশন’-এও যান কিয়ারা।
ডায়েট নিয়ে কিয়ারা ভীষণ কড়া। ‘লো-সুগার’ ও ‘লো-সল্ট’ ডায়েট করেন অভিনেত্রী। কিয়ারা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কেবল শরীরচর্চা করলেই হল না, ফিট থাকতে হলে খাওয়াদাওয়াতেও লাগাম টানতে হবে।