দুধ খাওয়াচ্ছেন মানেই শরীরে যত্ন নেওয়া শেষ হয়ে গেল না। ছবি: সংগৃহীত
কাজ থাকবে, থাকবে ব্যস্ততাও। তাই বলে তো আর শরীরের প্রতি অবহেলা করা চলে না। কারণ শরীর ঠিকঠাক থাকলে কাজের মানও ভাল হবে। শরীরের দেখাশোনা করে যে খাবারগুলি তার মধ্যে অন্যতম দুধ। ক্যালশিয়াম এবং অন্যন্য পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার এমন সুষম খাবার খুব কম রয়েছে। হাড়ের যত্ন নেওয়া থেকে রোগের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি— সবই পাবেন দুধ থেকে।
প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি-এর মতো উপকারী উপাদানে ভরপুর দুধ হাড়ের গঠন শক্তিশালী করে। শরীরের প্রতিটি কোষ সচল রাখে। শরীরে ভিটামিন ডি-র ঘাটতি পূরণ করে। দুধ নিঃসন্দেহে উপকারী। কিন্তু দুধ খাওয়ার কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। দুধ খাওয়াচ্ছেন মানেই শরীরে যত্ন নেওয়া শেষ হয়ে গেল না। কারণ দুধে থাকা পুষ্টিগুণ শরীর পর্যাপ্ত পরিমাণে পাচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।
কতটা পরিমাণে দুধ খাচ্ছেন এবং কখন খাচ্ছেন, সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আয়ুর্বেদ অনুসারে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে দুধ খাওয়ার সঠিক সময় হল রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে। তবে হজমের গোলমাল থাকলে রাতে না খাওয়াই ভাল। পুষ্টিবিদদের মতে, বাচ্চাদের দুধ খাওয়ার সঠিক সময় হল সকালবেলা। তবে রাতে দুধ খাওয়ার কিছু বাড়তি সুবিধা রয়েছে। রাতে দুধ খেলে ঘুম হয় ভাল। শরীর অনেক বেশি পরিমাণে ক্যালশিয়াম শোষণ করতে পারে। তাই রাতে দুধ খাওয়া সবচেয়ে ভাল। দুধ খাওয়ার সময় যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কী পরিমাণে দুধ খাচ্ছেন সেটাও জরুরি। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, সারা দিনে অন্তত ২-৩ কাপ দুধ খেতে পারেন। তার বেশি নয়। কারণ দুধ শরীরের জন্য উপকারী। তবে বেশি খেলে কিন্তু গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সর দেওয়া দুধ খেলে বেড়ে যেতে পারে ওজনও। দুধ খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম রয়েছে। এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি দুধের সঙ্গে খাওয়া যাবে না। টক ফল, দই কিংবা ভাজাভুজি একেবারেই দুধের সঙ্গে খাবেন না। তা হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy