ছবি: প্রতীকী
দেহের অন্যান্য অংশের চেয়েও পেটের মেদ নিয়ে চিন্তায় থাকেন সকলেই। শরীরচর্চা করতে শুরু করলে বুক, পিঠ, হাত এবং ঊরুর মেদ ঝরতে শুরু করলেও পেট বা কমোরের মেদ ঝরতে সময় লাগে বেশি। তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নিয়মিত কিছু পানীয় খেলে তাড়াতাড়ি কমতে পারে ওজন। অনেকেই এ ক্ষেত্রে লেবুর রস, মধু এবং উষ্ণ জলের উপর ভরসা করেন। তবে এই পানীয়টি ছাড়া আরও এমন অনেকগুলি পানীয় রয়েছে, যা খেলে মেদ ঝরতে পারে।
১) জিরে ভেজানো জল
এই পানীয়ে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। তাই বাড়তি মেদ জমার ভয় নেই। জিরে ভেজানো জল খেলে রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকে। নিয়মিত এই পানীয় খেলে শরীর থেকে ‘টক্সিন’ও দূর হয়।
২) গরম জলে লেবুর রস এবং মধু
মেদ ঝরাতে এই পানীয়ের উপর ভরসা করেন অনেকেই। লেবুর রস, মধু দেওয়া উষ্ণ জল শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে সাহায্য করে। লেবুর রসে থাকা পেকটিন নামক ফাইবারটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে। ফলে বিপাকহার উন্নত হয়।
৩) মৌরি ভেজানো জল
মৌরিতে থাকা বিভিন্ন খনিজ, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট বিপাকহার উন্নত করে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। নিয়মিত মৌরি ভেজানো জল খেলে পেটফাঁপা, হজমের সমস্যাও নিমূর্ল হয়।
৪) গরম জলে আমলকির রস
ভিটামিন সি-র গুণে সমৃদ্ধ আমলকি মেদ ঝরানোর পাশাপাশি হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমলকিতে থাকা ‘ক্রোমিয়াম’ রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও সাহায্য করে।
৫) আদা জল
দেহের অন্যান্য অংশের মেদ ঝরে গেলেও পেটের চর্বি গলতে চায় না সহজে। আদায় থাকা ‘জিনজেরন’ এবং ‘শোগাওল্স’ পেটের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। নিয়মিত আদা, জল খেলে হজমের সমস্যা থাকে না।
৬) অ্যাপল সাইডার ভিনিগার
অ্যাপল সাইডার ভিনিগারে থাকে অ্যাসেটিক অ্যাসিড। এই অ্যাসিডটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যা পরোক্ষ ভাবে মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
৭) সব্জির রস
ওজন ঝরাতে গেলে এমন খাবার খেতে হবে, যেগুলির ক্যালোরি কম। তাই ওজন ঝরাতে অনেকেই নানা রকম সব্জির রস খেয়ে থাকেন। এই পানীয়টিও মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy