সয়াবিনের হরেক গুণ! —ফাইল চিত্র
নিরামিষের মধ্যে সয়াবিনের মতো প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খুব কমই আছে। একমাত্র যাঁদের কিডনির অসুখ আছে এবং যাঁরা বাতের সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা ছাড়া ভরপুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সয়াবিন সব বয়সিদের জন্যই সমান উপকারী। বিশেষ করে ঋতুনিবৃত্তির পর মহিলাদেরর মধ্যে হাড় ক্ষয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এই সমস্যা কমাতেও সয়াবিন উল্লেখযোগ্য ভূমিকায় নিতে পারে।
ক্যালশিয়ামের জন্য
ইংল্যান্ডের হাল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি পরিসংখ্যান বলছে, সদ্য ঋতুবন্ধ হয়েছে এমন মহিলাদের নিয়ম করে তিরিশ গ্রাম সয়াবিন টানা ৬ মাস খাওয়ালে অস্টিয়োপোরোসিসের মতো হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যা অনেকাংশে প্রতিহত করতে পারে। সপ্তাহে ৩ দিন সয়াবিন ও নিয়মিত সয়ামিল্ক খেলে হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধ করা যায়। ঋতুবন্ধের পর মহিলাদের হাড়ে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ কমে যেতে পারে। ফলে হাড় ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। সয়াপ্রোটিনে ফাইটোইস্ট্রোজেন নামের একটি উপাদান থাকে, যা ক্যালশিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
রক্ত চলাচলের সাহায্য
সয়াবিনে আছে আইসোফ্ল্যাভেন ও লেসিথিন নামের দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। এগুলি লো-ডেনসিটি কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্যে করে। এই কোলেস্টেরল দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই কোলেস্টেরলই হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো সমস্যা ডেকে আনে। সয়াবিনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এই সমস্যার মোকাবিলায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পারে।
তারুণ্য ধরে রাখতে
সয়াবিনের আইসোফ্ল্যাভেন থাকে। ত্বক ও চুল ঝকঝকে রাখতে এই যৌগ সাহায্য করে। তা ছাড়া সয়াবিনে থাকা লেসিথিন যেহেতু রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে, তাই ত্বকের কোষ চাঙ্গা থাকে ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল দেখতে লাগে। এতে অকালবার্ধক্য থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পাশাপাশি, সয়াবিনের লেথিসিন ফ্যাটের বিপাক হার বাড়াতে সাহায্য করে। তাতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তবে ৫০ গ্রামের বেশি সয়াবিন খাওয়া ঠিক নয়। অনেকেরই বেশি সয়াবিন হজমে সমস্যা হয়। কেবল যাঁরা দুধ খেতে পারেন না, অর্থাৎ, ল্যাকটোজ ইনটলারেন্ট তাঁরা নিয়মিত সয়া মিল্ক খেতে পারেন। তবে নিয়মিত খেতে চাইলে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy