খাওয়ার পরেই মিষ্টির খাওয়ার সাধ হয়? ছবি: সংগৃহীত।
খাওয়ার পর অনেকেই আছেন যাঁদের একটি মিষ্টি চাই-ই চাই। মিষ্টি না খেলে যেন তাঁদের ভোজ সম্পূর্ণ হয় না। অনেকেই আছে যাঁদের ইচ্ছে হলেও রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া কিংবা মোটা হয়ে যাওয়ার ভয় মিষ্টি থেকে দূরে থাকতে হয়। তবে মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে নিজেকে আটকাবেন কী করে? গ্রামের দিকে খাওয়াদাওয়ার পর এক টুকরো ভেলি গুড় খাওয়ার চল রয়েছে। কেবলই কি স্বাদের জন্য না কি এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে অন্য কোনও কারণ।
১) গুড়ে থাকা জ়িঙ্ক, সেলেনিয়ামের মতো খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়াজনিত সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই গুড় সাহায্য করে।
২) রক্তে আয়রনের ঘাটতি থাকলেও গুড় খেতে বলা হয়। রক্তাল্পতা রয়েছে এমন রোগীদের চিকিৎসায় বহুল জনপ্রিয় এই আয়ুর্বেদিক উপায়। খাওয়াদাওয়ার পরে তাই একটু গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যকর
৩) অনেক দিনের পুরনো কাশি, বুকে জমা সর্দির কষ্ট কমাতে গুড় দারুণ কাজ করে। ভাইরাসের সংক্রমণে শ্বাসযন্ত্রের নানা রকম সমস্যা হয়। শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই মিলতে পারে নিয়মিত একটু করে গুড় খেলে।
৪) গরমের খাওয়াদাওয়ার পরেই পেটভার, গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন কেউ কেউ। পেটের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে এক টুকরো গুড় ভীষণ উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের সমস্যা কিংবা ডায়েরিয়া— পেটের যে কোনও সমস্যায় ঘরোয়া টোটকা হিসেবে খেয়ে দেখতে পারেন ভেলি গুড়। অন্ত্র ভাল রাখতে এই টোটকা দারুণ কাজ করে।
৫) বয়স বাড়লেই গাঁটে গাঁটের ব্যথা বাড়ে। এখন অবশ্য অল্পবয়সিদের মধ্যেও এই বাতের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। বাত না থাকলেও অস্থিসন্ধির যন্ত্রণায় কাবু হন অনেকেই। পেশি এবং হাড়ের নমনীয়তা বজায় রাখতে, হাঁড়ের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে হলে এক টুকরো গুড় খেতেই পারেন।
গুড় খাওয়া স্বাস্থ্যকর বলে মাত্রারিরিক্ত খেয়ে ফেলাও আবার ঠিক নয়। খেতে হবে পরিমাণ বুঝে।
ক্রনিক অসুখ কিংবা ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরমর্শ নিয়ে তবেই ডায়েটে বদল আনুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy