Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

মেজাজ হারাচ্ছেন ক্ষণে ক্ষণে! প্রভাব পড়ছে কর্মক্ষেত্রেও, কী ভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন?

কাজে মন নেই। বাড়িতেও কিছু ভাল লাগে না। মেজাজ হারাচ্ছেন মুহূর্তে। কখনও কারণে, কখনও অকারণে এমনটা হয়। এমন পরিস্থিতি কী ভাবে সামলাবেন?

মেজাজ হারাচ্ছেন ক্ষণে ক্ষণে!   প্রভাব পড়ছে কর্মক্ষেত্রেও, কী ভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন?

মেজাজ হারাচ্ছেন ক্ষণে ক্ষণে! প্রভাব পড়ছে কর্মক্ষেত্রেও, কী ভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন? ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৪ ১৫:৩৭
Share: Save:

শরীর ও মন ভাল থাকলে যেমন যে কোনও কাজ চটপট হয়ে যায়, তেমনই মনমেজাজ খারাপ হলে তার প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন জীবনে। ব্যক্তিগত সম্পর্ক থেকে কর্মক্ষেত্রও তা থেকে বাদ যায় না। কাজে মন না থাকলে ভুলত্রুটি হওয়াটা স্বাভাবিক। এক-আধ বার তা কেউ মার্জনা করলেও, বার বার এমন হলে তা কেরিয়ারের ক্ষতি করবেই।

যখন কিছুই ভাল লাগছে না, বা কোনও কারণে মানসিক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তখন কী করবেন?

মেজাজ হারানোর প্রভাব

ক্রমাগত মেজাজ বদলালে তার প্রভাব যেমন পারিবারিক জীবনে, কর্মক্ষেত্রে পড়ে, ঠিক তেমনই আশপাশের মানুষগুলির উপরেও পড়ে। অকারণে মাথাগরম হয়ে যাওয়া, সামান্য কারণে কাউকে দু’কথা শুনিয়ে দেওয়ার ফলে অন্যের মেজাজও খারাপ হয়ে যায়।

সমাধানের পথ

. প্রথমেই নিজেকে প্রশ্ন করা দরকার, এর কারণ কী? মেজাজ হারানোর পিছনে নানা কারণ থাকতে পারে। কোনও সমস্যা থাকতে পারে, একঘেয়ে জীবন হতে পারে, চাহিদা মতো অর্থ না মেলাও জীবনে বিরক্তির কারণ হওয়া সম্ভব। কারণটিকে খুঁজে বার করে, তার সমাধান কী ভাবে সম্ভব, নিজেকে ভাবতে হবে।

২. বাড়িতে বা অফিসে অকারণে মেজাজ হারালে, আশপাশের মানুষগুলিও বিরক্ত হবেন। তার মধ্যে কেউ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন, কেউ আবার রাগ করে কথা বন্ধ করে দিতে পারেন। এতে ভুল বোঝাবুঝি বাড়বে। তাই মেজাজ হারিয়ে কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ফেললে, পরে তাঁর কাছে দুঃখপ্রকাশ করতে পারেন। সত্যি কথা সহজ ভাবে বললে ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব।

৩. অনেক সময় কাজের চাপ, ক্লান্তি, একই রকম রুটিন জীবনে একঘেয়েমি আনে। তা থেকেও মনখারাপ চেপে বসা, মেজাজ বিগড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। কোনও দিন কাজ করতে গিয়ে যদি মনে হয়, মন বসছে না, তা হলে অল্প কিছু ক্ষণের বিরতি নিন। চা খেতে পারেন বা খোলা হাওয়ায় ঘুরে আসতে পারেন। যদি তা সম্ভব না হয়, তা হলে ছুটির দিনে মন ভাল করার জন্য কিছু পরিকল্পনা করে ফেলতে পারেন।

৪. আচমকা মেজাজ চড়ে গেলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে কারও সঙ্গে কথা না বলে চুপ করে বসতে পারেন। চেয়ারে বসে শিরদাঁড়া সোজা করে শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার ব্যায়াম কিছু ক্ষণ করতে পারেন। এতে অনেক সময়েই ভাল হয়। আবার কিছু ক্ষণ সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করলে বা বাইরে কোথাও গিয়ে খেয়ে এলে, ভাল লাগতে পারে।

৫. মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পুষ্টিকর খাদ্যগ্রহণ ও শরীরচর্চা জরুরি। মেজাজ খারাপ থাকলে, এর কোনওটাই ইচ্ছা করে না, তা-ও ঠিক। কিন্তু অফিসে কাজ করতে ইচ্ছা না করলেও যেমন করতে হয়, তেমন শরীরচর্চার দিকে একটু জোর করে মন দেওয়া যেতে পারে। ঘরে বসে প্রতি দিন যে যোগাসন করতে হবে, এমন নয়। খানিকটা সময় পেলে ছোটবেলার মতো সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন। এতে মন ও শরীর, দুই-ই ভাল থাকবে। সাঁতার কাটতে পারেন। ভাল লাগা এক এক জনের কাছে এক এক রকম। চকোলেট খেতে পারেন। তাতেও মন ভাল হয়।

৬. মনের মধ্যে চাপা দুঃখ, অপ্রাপ্তি, কারও খারাপ ব্যবহারও মেজাজ হারেনোর কারণ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বন্ধু বা প্রিয় মানুষটির কাছে সে কথা খুলে বলতে পারেন। এতে মন অনেকটাই হালকা হবে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy