ডাঃ দেবব্রত সেন ভারতবর্ষের অন্যতম বংশানুক্রমিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসক পরিবারের এই প্রজন্মের উত্তরসূরী। সুতরাং ডাঃ দেবব্রত সেনের রক্তেই প্রথিত রয়েছে আয়ুর্বেদের বীজমন্ত্র।
আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ দেবব্রত সেন
সময় চলিয়া যায়, নদীর স্রোতের প্রায়...
আমরা প্রত্যেকেই যেন সময়ের স্রোতের সঙ্গে বয়ে চলেছি। প্রতিনিয়ত সঙ্গে নিয়ে চলেছি হাজারো সমস্যাকে। যে সমস্যাগুলি কখনও আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে করে তুলেছে খরস্রোতা। কখনও বা সময়ের মিঠে তালে ভাসিয়ে দিচ্ছে অনন্তের দিকে। আধুনিকতার সেই ছোঁয়ায় আমাদের শরীরে বাসা বাঁধছে জটিল কঠিন রোগ। এমনই এক রোগ হল আর্থারাইটিস। চলতি ভাষায় যাকে বলে বাত। এই রোগে শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে তীব্র যন্ত্রণা, ফুলে ওঠা, শারীরিক জড়তা, সহ আরও বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়।
পরিসংখ্যান বলছে, আমাদের দেশে প্রায় ২ কোটিরও বেশি মানুষ আর্থারাইটিসে আক্রান্ত। এর মধ্যে ১৪ শতাংশ নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। এবং শুধু মাত্র প্রৌঢ়ত্ব বা বার্ধক্যেই নয়, যে কোনও বয়সেই শরীরকে কাবু করতে পারে আর্থারাইটিস।
আয়ুর্বেদের বিশ্লেষণ অনুসারে আর্থারাইটিস হল সন্ধিগত বাত অর্থাৎ গাঁটের যন্ত্রণা। এছাড়া আমবাতের উল্লেখও রয়েছে আয়ুর্বেদে যা আমাদের রক্তের মধ্যে থাকা বিভিন্ন অশুদ্ধতা, পাচনতন্ত্রের ত্রুটিজনিত হজমের সমস্যা — ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে।
যদিও এই একবিংশ শতকে দাঁড়িয়ে এখনও অনেকে বিশ্বাস করেন, যে বাত এমন অসুখ, যা কখনও নিয়ন্ত্রণে আসে না। সত্যিই কি তাই? আর্থারাইটিস আসলে কী? কোন পথ্যাপথ্য বিধিতে ব্যথামুক্ত সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা সম্ভব? সুস্থতার সেই চাবিকাঠি নিয়ে হাজির হয়েছেন স্বনামধন্য প্রখ্যাত আয়ুর্বেদাচার্য, ডাঃ দেবব্রত সেন।
ডাঃ দেবব্রত সেন ভারতবর্ষের অন্যতম বংশানুক্রমিক আয়ুর্বেদ চিকিৎসক পরিবারের এই প্রজন্মের উত্তরসূরী। সুতরাং ডাঃ দেবব্রত সেনের রক্তেই প্রথিত রয়েছে আয়ুর্বেদের বীজমন্ত্র। তাঁর বাবা, দাদু, প্রপিতামহ এবং তারও আগের প্রজন্ম আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে পাথেয় করে এগিয়ে চলেছেন। সুতরাং চিকিৎসক হিসেবে ডাঃ দেবব্রত সেনের নাম ও যশ প্রত্যেকের কাছেই সমাদৃত। বিগত কয়েক দশক ধরে তাঁর নেতৃত্বে পরম্পরা আয়ুর্বেদ তাদের ঔষধির মাধ্যমে সন্ধিবাত, স্পন্ডিলাইটিস এবং নিউরো রোগীদের চিকিৎসা করে আসছেন।
আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ দেবব্রত সেনের কাছে সুস্থতার গুঢ় রহস্য একটাই — নিয়মিত নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। সহজ সরল জীবনযাপন যে কোনও ক্ষেত্রেই রোগমুক্তির প্রধান চাবিকাঠি। বর্তমানে বাতের ব্যথার সমস্যায় ভোগে এমন মানুষের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ দেবব্রত সেনের মতে, আর্থারাইটিসের বিভিন্ন ধরন রয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজন সঠিক আহার বিহার পথ্যাপথ্য বিধির। প্রাচীন আয়ুর্বেদে যার কথা বার বার উল্লেখ করা হয়েছে। কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই আয়ুর্বেদের আশীর্বাদে সুস্থ জীবনে ফিরে এসেছেন এমন বহু মানুষ।
আয়ুর্বেদাচার্য পরামর্শ দিচ্ছেন, গরম জলে স্নান করার। গরম খাবার খাওয়ার। রোগীকে সুস্থ থাকতে গেলে, জীবনযাপন থেকে ঠান্ডা দূরেই থাকুক। তিনি জানাচ্ছেন, “আর্থারাইটিসের রোগীদের বৃষ্টি ভেজা চলবে না। এসি ঘরে থাকা চলবে না। প্রয়োজন পাখার হাওয়াও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রোগী থাকার ঘর খানিকটা উষ্ণ হওয়া প্রয়োজন। ঘর্মাক্ত থাকলে শরীরে এই রোগের প্রকোপ কম হয়।”
ডাঃ দেবব্রত সেন জানাচ্ছেন, এমন বহু ভেষজ রয়েছে, যেগুলি আর্থারাইটিসের ক্ষেত্রে দারুণ কাজ করে। এর মধ্যে অন্যতম হল নির্গুণ্ডি। এই আয়ুর্বেদিক ঔষধিটির ব্যবহারে আর্থারাইটিসের যন্ত্রণার ক্ষেত্রে দারুণ সুফল পাওয়া যায়। আরেকটি হল আজোয়ন। এর ভিতরে প্রদাহরোধী যৌগ থাকে। এটিও দারুণ কাজ করে বাতের ব্যথার ক্ষেত্রে। এছাড়াও রয়েছে দশমূল, শল্যকি, শুকনো আদা বা শুণ্ঠি। শুধুমাত্র ভারতই নয়, বিশ্বজুড়ে সমাদৃত এই ঔষধিগুলি। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, এগুলির নিয়মিত সেবনে আর্থারাইটিস উপশমে দারুণ সাহায্য করতে পারে।
বিগত কয়েক দশক ধরে ডাঃ দেবব্রত সেনের নেতৃত্বে পরম্পরা আয়ুর্বেদ তাদের ঔষধির মাধ্যমে সন্ধিবাত, আর্থারাইটিস এবং নিউরো রোগীদের চিকিৎসা করে আসছে। শুধুমাত্র আয়ুর্বেদিক ভেষজই নয়, পরম্পরা আয়ুর্বেদের নির্দিষ্ট কিছু চিকিৎসাপদ্ধতির মাধ্যমে এই ধরনের রোগ নিরাময় করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে পঞ্চকর্ম পদ্ধতি বিশেষ জনপ্রিয়। যে পদ্ধতিটি এই ধরনের রোগীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম। যার বহু উদাহরণ রয়েছে ডাঃ দেবব্রত সেনের চিকিৎসালয়ে।
ডাঃ সেন জানাচ্ছেন, আমাদের শারীরবৃত্তিয় প্রক্রিয়াগুলির মধ্যে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াটি হল ঘুম। ঘুম কম হলে তা আর্থারাইটিসের রোগীদের সমস্যার মুখে পড়তে হয়। এবং ব্যথা যন্ত্রণা বাড়তে পারে। আয়ুর্বেদিক দিনচর্যার ক্ষেত্রে তাই পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তিনি আরও জানাচ্ছেন, আমরা বাঙালিরা ঘুরতে, বেড়াতে ভীষণ ভালবাসি। আর হারিয়ে যাওয়ার ঠিকানায় পাহাড় থাকে হামেশাই। কিন্তু ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিদের মনে রাখতে হবে, পরিবারের কোনও সদস্য যদি আর্থারাইটিসে আক্রান্ত হন, তা হলে পাহাড়ে, ঠান্ডা জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট রোগীর সমস্যা আরও বাড়তে পারে। তাই ভ্রমণসূচী ঠিক করার আগে পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের কথা মাথায় রাখুন।
আর্থারাইটিসে আক্রান্ত রোগীরা সব সময়েই কষ্টে থাকেন। দিনের ২৪ ঘণ্টা তাঁদেরকে সেই কঠিন যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়। ধীরে ধীরে এই সমস্যা মানসিক বিপর্যয়কে কাছে ডেকে আনে। রোগীদের জন্য কিছু বিশেষ ধরনের যোগাসন রয়েছে। নিয়মিত এই যোগাসনগুলি করলে, রোগীরা মানসিক চাপ থেকেও খানিকটা হলেও দূরে থাকতে পারেন। ডাঃ দেবব্রত সেন জানাচ্ছেন, আর্থারাইটিসের রোগীদেরকে মানসিক চাপ, টেনশন ইত্যাদি থেকেও দূরে রাখতে হবে। তবেই সুস্থ জীবনযাপনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ডাঃ দেবব্রত সেন জানাচ্ছেন, পরম্পরা আয়ুর্বেদে রোগীদের চিকিৎসা করার সময় আমরা দেখেছি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে রোগটিকে সুন্দরভাবে আয়ত্ত্বের মধ্যে রাখা গিয়েছে। আর্থারাইটিসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ব্যথা, রোগের লক্ষণ এবং ক্ষতিকে যেমন নিয়ন্ত্রণ করা যায়, ঠিক তেমনই রোগের ব্যপ্তিকেও আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি। আমাদের লক্ষ্য থাকে রোগীর শারীরিক প্রক্রিয়াকে সচল রাখা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে আমরা ১০০ শতাংশ চেষ্টা করি যাতে সংশ্লিষ্ট রোগী তার জীবনযাত্রায় স্বচ্ছল থাকতে পারেন।
আর্থারাইটিসের সূত্রপাত হয় কী ভাবে? এর কারণটাই বা কী? উত্তরে ডাঃ দেবব্রত সেন জানাচ্ছেন, যদি পরিবারের ইতিহাসে আর্থারাইটিস থাকলে, আশঙ্কার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ আর্থারাইটিসকে বংশানুক্রমিক রোগ বলা যায়। এর পাশাপাশি বয়স নিঃসন্দেহে একটি বড় কারণ। সাধারণত দেখা যায়, ৪৫ বছর বয়সের পর এই রোগ বাসা বাঁধতে পারে। প্রসঙ্গত, মহিলাদের ক্ষেত্রে আক্রান্তের সংখ্যাটা বেশি। সংসারের সমস্ত দায়দায়িত্ব সামলে মহিলারা নিজেদের যত্নে অবহেলা করেন। অনিবার্য ফলশ্রুতি, শরীরে ক্যালসিয়ামের একটা ঘাটতি। অনেক মহিলার ক্ষেত্রে মেনোপোজ পরবর্তী সময়ে শরীরে হরমোনাল বদল আসতে শুরু করে। ফলে আর্থারাইটিসের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে।
এছাড়াও আর্থারাইটিসের আরও অনেকগুলি কারণ থাকতে পারে। ডাঃ দেবব্রত সেন জানাচ্ছেন, অনেক ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি যে অতীতে কোনও দুর্ঘটনা ঘটার পরে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তাঁর শরীরের চোট পাওয়া অংশটির দিকে তেমন কোনও আমল দেননি। ভবিষ্যতে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই ব্যক্তির চোটগ্রস্ত অংশটিতে ফের ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। অর্থাৎ পুরনো চোট থেকেও কিন্তু আর্থারাইটিসের সমস্যা ফিরে আসতে পারে।
আর্থারাইটিসের আরও একটি বড় কারণ হল স্থূলতা। ওজন বেশি হলে একটা সময় হাঁটু শরীরের সেই ওজন নিতে পারে না। ফলে ধীরে ধীরে সমস্যার সৃষ্টি হয়। অতএব আর্থারাইটিস এড়াতে গেলে, হাঁটু, বা কোমরের যত্ন নিতে গেলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।
আর্থারাইটিস কি হঠাৎই হানা দেয়। এই রোগের লক্ষণগুলি কী কী?
ডাঃ দেবব্রত জানাচ্ছেন, আমরা কয়েকটি বিষয় লক্ষ্য করলেই বুঝতে পারব আর্থারাইটিস শরীরে বাসা বাঁধছে কীনা! প্রথমত, লক্ষ্য রাখুন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে শরীরের অস্থিসন্ধিতে আড়ষ্টভাব রয়েছে কিনা! কিংবা মাটিতে পা রাখার পরে দেখুন গোড়ালিতে ব্যথা অনুভব হচ্ছে কিনা! এটি হলেই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সচেতন হতে হবে। সেক্ষেত্রে শরীরের ওজন বেশি হলে তা অবিলম্বে কমাতে হবে। দ্বিতীয়ত, অস্থিসন্ধি ফুলে যাওয়া। যদি মনে হয় কোমরে বা হাঁটুতে ব্যথা হচ্ছে, ফুলে যাচ্ছে বা লাল হয়ে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রেও বুঝতে হবে আর্থারাইটিস বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। আবার রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিসের ক্ষেত্রে এই উপসর্গগুলির সঙ্গে সঙ্গেই হালকা জ্বর লক্ষ্য করা যায়। এর সঙ্গে হাত পা কাঁপতে পারে। শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। স্পন্ডেলাইটিস রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় অল্পেতেই হাত-পা ঝিনঝিন করছে। ঘাড় থেকে ব্যথা হাতের দিকে নেমে যাচ্ছে, ইত্যাদি। অন্যান্য উপসর্গগুলির মধ্যে হাঁটতে সমস্যা হওয়া, বসতে অসুবিধা হওয়া ইত্যাদি। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, আগে যে ব্যক্তি লম্বা লম্বা পা ফেলে হাঁটতে পারছেন, তিনি এখন ততটা সবলভাবে হাঁটতে পারছেন না।
আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ দেবব্রত সেন মনে করেন, আর্থারাইটিসকে এক ধাক্কায় ধরাশায়ী করার গুপ্ত মন্ত্র হল ডায়েট, পর্যাপ্ত শরীরচর্চা, ধূমপান বর্জন, খাদ্য তালিকায় প্রদাহরোধী খাদ্য রাখা, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ এবং সর্বোপরি আয়ুর্বেদিক ভেষজের নিয়মিত সেবন। যে আয়ুর্বেদিক ভেষজগুলির গুণাগুণ আজ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত। অবশ্যই কোনও আয়ুর্বেদাচার্যের উপদেশ নিয়ে তবেই সেই ওষুধ গ্রহণ করা উচিত।
আর্থারাইটিসের ক্ষেত্রে খাদ্য তালিকায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনা বাঞ্চনীয়। ডাঃ দেবব্রত সেন জানাচ্ছেন, মাছ, মাংস, ডিমের সঙ্গে দুগ্ধজাত বা গুড় জাতীয় কোনও খাবার খাওয়া যাবে না। গ্যাস বা অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে এবার খাবার এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়। পুরোপুরি খিদে পেলে তবেই খাদ্যগ্রহণ করুন।
কথায় রয়েছে, রোগ প্রতিরোধ চিকিৎসার থেকে ভাল। অতএব ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা আবশ্যিক। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত, বর্তমানে গুগলে সার্চ করলেই এমন তথ্য পাওয়া যেতে পারে। সেই অনুযায়ী ওজনের দিকে নজর দিন। সাইকেল চালানো, দৌঁড়ানো, সাঁতার কাটা, নিয়মিত শরীরচর্চা, ইত্যাদির মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যাঁদের হাঁটুতে সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ফ্লোর কার্ডিওর উপদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি, সারাদিনে যত ক্যালোরি আপনি গ্রহণ করছেন, তার তুলনায় বেশি ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। এতে শরীর সুস্থ থাকবে। ব্যথা জায়গায় শুকনো গরম সেঁক দিন। আগেকার দিনে আয়ুর্বেদে বলা হত, ব্যথা জায়গায় বালির পুঁটলি গরম করে সেঁক দিলে ব্যথার উপশম হয়। এখনকার দিনে প্লাগে লাগানো থার্মোপ্যাডেও একই কাজ দেয়। গোড়ালি বা হাঁটু বা কোমড়ে ব্যথা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে শক অ্যাবসর্ভার জুতো ব্যবহারের উপদেশ দেওয়া হয়।
পরম্পরা আয়ুর্বেদের আর্থারাইটিস, জয়েন্ট পেইন এবং নিউরোলজিক্যাল ক্লিনিকে নিয়মিত প্রচুর মানুষ আসেন চিকিৎসা করাতে। যাদের জন্য পরম্পরা আয়ুর্বেদের মেডিক্যাল টিম ও পঞ্চকর্ম টিম সর্বদা তৈরি থাকে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, স্রেফ ডাঃ দেবব্রত সেনের তৈরি পরম্পরা আয়ু্র্বেদের বাতমুক্তি তৈলম, বাতমুক্তি ক্যাপসুল এবং বাতমুক্তি প্রলেপ ব্যবহার করে বেশ ভাল রয়েছেন আর্থারাইটিসে আক্রান্ত বহু রোগী। বলা বাহুল্য, আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগীরা অনেকটাই সুস্থ জীবনযাপন করছেন।
যাঁরা আর্থারাইটিসের সমস্যায় আক্রান্ত এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার মাধ্যমে পুনরায় সুস্থ জীবনে ফিরতে চাইছেন, তাঁরা আয়ুর্বেদাচার্য ডাঃ দেবব্রত সেনের পরামর্শ নিতে ফোন করতে পারেন এই নম্বরে — 9830339339
ডাঃ দেবব্রত সেন রোগীদের সেবায় সদা প্রস্তুত।
বিশদে জানতে ভিজিট করুন www.drdebabratasen.com
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy