বছর ২৫-এর শিবাঙ্গীর সুগন্ধি মোমবাতি সংগ্রহ করার শখ। দেশ-বিদেশে যেখানেই যান না কেন, সেখান থেকে বেছে বেছে গোটা চারেক মোমবাতি তো আনবেনই। সুগন্ধি দেওয়া নানা রঙের, আকারের মোমবাতি দিয়ে ঘর সাজানোর চল হয়েছে এখন। স্নানের সময়ে বেসিনের উপর কিংবা বাথটবের পাশে নানা ধরনের সুগন্ধিযুক্ত মোমবাতি জ্বালিয়ে রাখেন শিবাঙ্গী। সারা দিনের ক্লান্তি, ক্লেদ নাকি নিমেষে উধাও হয় তাতে। কিন্তু কিছু দিন ধরে শিবাঙ্গী স্নান করতে গিয়ে অদ্ভুত অস্বস্তি বোধ করছেন। বাথটবে শুতে গিয়ে কেমন যেন বুকে চাপ ধরছে। শাওয়ারের তলায় দাঁড়ালেও অস্বস্তি কমছে না। মাথাটার এক পাশটা কেমন যেন ধরে রয়েছে। বুক-মাথায় সর্দি বসলে কখনও এমনটা হয়। কিন্তু এখন যে খুব ঠান্ডা লেগে আছে, তা-ও নয়। তা হলে এমন সমস্যা হচ্ছে কেন?
আরও পড়ুন:
কারণ লুকিয়ে মোমবাতিতেই।
এ ধরনের মোমবাতির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য এতে নানা ধরনের রাসায়নিক মেশানো থাকে। এই রাসায়নিক দেওয়া মোমবাতি জ্বালালে এমনটা হতেই পারে। এই ধরনের মোমবাতিতে প্রাকৃতিক মোমের বদলে ‘প্যারাফিন’ থাকে। যা আসলে পেট্রোলিয়ামজাত একটি দ্রব্য। বদলে প্রাণিজ বা উদ্ভিজ্জ স্নেহপদার্থ দিয়ে তৈরি ‘স্টেরিন’ এবং ‘বিওয়াক্স’ নির্ভর মোমবাতি ব্যবহার করাই ভাল।

ছবি: প্রতীকী
সাধারণ সুগন্ধি দেওয়া মোমবাতির দামের তুলনায় এই উদ্ভিজ্জ চর্বি দেওয়া মোমবাতিগুলির দাম অনেকটাই বেশি। তবে, শিবাঙ্গীর ক্ষেত্রে এই বিকল্পগুলিও কাজ করেনি। চিকিৎসকেরা বলছেন, শুধু মোমবাতি নয়, সুগন্ধি অগরবাতি, মশার ধূপ-সহ এমন যে কোনও দাহ্য পদার্থ, যা পোড়ালে কালো ধোঁয়া নির্গত হয়, সেগুলি ব্যবহার না করাই ভাল। দীর্ঘ দিন ধরে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে এই ধোঁয়া শরীরে পৌঁছতে থাকলে তা আদতে ফুসফুসের ক্ষতি করে।
তবে সকলের ক্ষেত্রেই যে একই রকম লক্ষণ দেখা যাবে, এমনটা নয়। মোমবাতি বা ধূপের গন্ধে শুরু হওয়া সাময়িক অস্বস্তি থেকে কারও কারও হাঁপানি, এমনকি নিউমোনিয়া পর্যন্ত হতে পারে। আবার কারও সামান্য মাথাধরা গড়াতে পারে মাইগ্রেন পর্যন্ত।