কোন বাদাম কখন খাবেন, কারা খাবেনই না? ছবি: ফ্রিপিক।
ভাজাভুজির বদলে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে এখন বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। বাদামে এত বেশি প্রোটিন, ভিটামিন, নানা রকম খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে যে, তা শরীরে পুষ্টির চাহিদা তো পূরণ করেই, এর স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সতেজ ও তরতাজা রাখে। শুধু বাদাম নয় বিভিন্ন রকম শুকনো ফল বা ‘ড্রাই ফ্রুট্স’ও বাজারে সহজলভ্য। চাইলে সব মিলিয়ে মিশিয়েই কিনতে পারেন। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা, খেজুর কিংবা কিশমিশ তো আছেই, এখন যোগ হয়েছে ফিগ, অ্যাপ্রিকট, স্ট্রবেরি, ব্লুবেরির মতো ফলও। তবে, বাদাম বা শুকনো ফল সারা দিন মুঠো মুঠো খেয়ে নিলেই যে পুষ্টি হবে, তা কিন্তু নয়। এগুলি খাওয়ারও নিয়ম আছে। কোনটি কতটা খেলে উপকার হবে এবং ঠিক কোন সময়ে খেলে ভাল— তা জেনে রাখা খুব জরুরি।
কী ভাবে খাবেন?
দিনে তিন থেকে চারটির বেশি বাদাম না খাওয়াই ভাল, এমনটাই মত পুষ্টিবিদ দীপালি শর্মার। তিনি জানাচ্ছেন, বাদাম হজমে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ায়। উচ্চ কোলেস্টেরল থাকলে, তার মাত্রাও কমাতে পারে। তবে বাদাম খেতে হবে নিয়ম মেনে, তবেই উপকার হবে। বেশি নুন ও মশলা দেওয়া বাদাম খেলে লাভ কিছুই হবে না। আয়ুর্বেদের নিয়ম মানলে বাদাম ভিজিয়ে খাওয়াই ভাল। কাঠবাদাম, আখরোট, কাজুবাদাম সবই সারা রাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালে উঠে সেই বাদাম খেলে তবে পুষ্টি হবে। ভেজানো বাদাম শরীরে ফাইটিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায়। এই অ্যাসিড হজম প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটায়, ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম শোষণে বাধা দেয়।
কখন খাবেন?
পুষ্টিবিদের পরামর্শ, বাদাম খাওয়া সঠিক সময় হল একেবারে সকালে অথবা প্রাতরাশের পরে। যে কোনও দু'টি মিলের মাঝে বাদাম খেলে উপকার হবে। বিকেলের দিকে খিদে পেলে তখন বাইরের খাবার না খেয়ে, বাদাম বা শুকনো ফল খেলে উপকার পাবেন। তবে রাতে বাদাম না খাওয়াই ভাল।
কাঠবাদাম ও আখরোটের মধ্যে থাকা মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ডায়াবিটিসের সম্ভাবনাও কমে। এই দু'টি বাদাম সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়াই ভাল।
কতটা খাবেন?
দিনে ৩০ থেকে ৫০ গ্রাম অর্থাৎ বড় চামচের ২ থেকে ৩ চামচ বাদাম বা শুকনো ফল খাওয়া যেতে পারে। ৫-৬টি কাঠবাদামের সঙ্গে যদি ১টি খেজুর এবং সামান্য একটু কেশর মিশিয়ে খাওয়া যায়, তা হলে কাঠবাদাম এবং খেজুরের পুষ্টিগুণ আরও বেড়ে যায়। তবে ৫০ গ্রামের বেশি বাদাম এক দিনে খাওয়া ঠিক নয়।
কারা খাবেন না?
পেটের সমস্যা বা ‘ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম’ থাকলে বাদাম বেশি না খাওয়াই উচিত। পিত্তথলিতে পাথরের সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন বা অত্যধিক গ্যাস-অম্বলের সমস্যা আছে, তাঁরা কতটা বাদাম খেতে পারবেন বা কখন খাবেন, তা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy