শুধু তরমুজ নয়, এর খোসাতেও রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। ছবি: সংগৃহীত
বাড়ছে তাপমাত্রা পারদ। গরম পড়েছে জাঁকিয়ে। শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেকেই তাই ভরসা রাখছেন বিভিন্ন গ্রীষ্মকালীন ফলের উপর। শরীর আর্দ্র রাখতে প্রয়োজন পড়ে জল আর জল জাতীয় বিভিন্ন ফলের। এই তালিকায় একেবারে প্রথম দিকে আসে তরমুজের নাম। তরমুজে রয়েছে ৯২ শতাংশ জলীয় উপাদান যা শরীরের প্রয়োজনীয় জলের চাহিদা পূরণ করে। কিন্তু জানেন কি শুধু তরমুজ নয়, এর খোসাতেও রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। তরমুজ খেতে গিয়ে অনেক সময়ে ভুল করে তরমুজের সাদা অংশ পেটে চলে যায়। পুষ্টিবিদরা বলেন, তরমুজের বাকি অংশের তুলনায় খোসার সাদা অংশ অনেক বেশি উপকারী। এতে ফাইবারের পরিমাণ বাকি তরমুজের তুলনায় অনেক বেশি। চিনির মাত্রাও কম। বিস্বাদ বলে তরমুজের যে সাদা অংশটি সবাই ফেলে দেয় ওটাই আসলে সবচেয়ে বেশি উপকারী।
ফেলে না দিয়ে কেন খাবেন তরমুজের খোসা?
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে
তরমুজের খোসায় ক্যালোরির পরিমাণ খুব কম। এ ছাড়াও এতে থাকা ফাইবার বিপাকক্রিয়াতেও দারুণ সাহায্য করে। যাঁরা রোগা হতে চাইছেন রোজের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন তরমুজের খোসা। তবে খোসার সাদা অংশটি শুধু খাওয়ার উপযোগী। বাইরের সবুজ অংশটি নয়। ভুল করে সবুজ অংশটি খেয়ে ফেললে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
তরমুজের খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ভিটামিন সি দারুণ কার্যকর। ভাইরাসজনিত রোগের সঙ্গে লড়তে খেতে পারেন তরমুজের খোসার সাদা অংশ।
ত্বকের যত্নে
বয়স বাড়লে ত্বকে বলিরেখা পড়ে যায়। বিভিন্ন দাগছোপ দেখা দেয়। তরমুজের খোসায় রয়েছে লাইকোপেন, ফ্ল্যাভোনয়েড, এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট উপাদান। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এই উপাদানগুলি অত্যন্ত উপকারী।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে
তরমুজের খোসায় রয়েছে ‘সাইট্রুলিন’ নামক এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড। যা রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে। এতে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy