— প্রতীকী চিত্র।
বয়স ৯ কিংবা ১০ বছর। সাধারণত এই বয়সে বাচ্চাদের ছুটে, দৌড়ে বেড়ানোর কথা। তার বদলে সারা শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে ব্যথা নিয়ে জড়ভরতের মতো বসে থাকে শিশুরা। সিঁড়ি ভাঙতে গেলে, দৌড়তে গেলে হাঁটুতে বা কোমরে ব্যথা হয়। হাতের কনুই ভাঁজ করতে গেলেও বেশ কষ্ট হয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এ সবই ‘জুভেনাইল আর্থ্রাইটিস’-এর লক্ষণ হতে পারে। তবে অধিকাংশ অভিভাবকের ধারণাই নেই যে, শিশুদেরও বাত হতে পারে। তবে এই বাতের ধরন সাধারণ বাতের চেয়ে একটু আলাদা। সঠিক সময়ে ধরা পড়লে এবং চিকিৎসা শুরু করলে তা সেরেও যেতে পারে।
‘জুভেনাইল আর্থ্রাইটিস’-এর লক্ষণগুলি কী কী?
১) গাঁটে ব্যথা এবং ফোলাভাব
কোনও রকম আঘাত ছাড়াই বাচ্চাদের অস্থিসন্ধিতে অসহ্য ব্যথা হতে দেখা যায়। কারও কারও আবার দেহের ওই অংশগুলি স্পর্শ করলে গরম অনুভূত হয়। লাল হয়ে ফুলেও যেতে পারে। সাধারণত ঘুম থেকে ওঠার পর এই ধরনের ব্যথা বাড়ে।
২) অনমনীয় অস্থিসন্ধি
মাটিতে বা চেয়ারে বসলে উঠতে সমস্যা হতে পারে। গাঁটের ‘ফ্লেক্সিবিলিটি’ অর্থাৎ নমনীয়তা একেবারেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
৩) কাজে অনীহা
সাধারণ চলাফেরা করতেই অসুবিধা হতে পারে। দৌড়নোর মতো শক্তি, পায়ের জোর থাকে না। শারীরিক সমস্যা তো থাকেই, সঙ্গে পায়ের গাঁটে গাঁটে অসহ্য যন্ত্রণা বাচ্চাদের কাবু করে দেয়।
৪) গতির অভাব
অস্থিসন্ধির ব্যথা এবং ফোলা ভাবের জন্য কাজের গতিও শ্লথ হয়ে পড়ে। শুধু চলাফেরা বা দৌড়নো নয়, যে কোনও কাজেই অনীহা দেখা দেয়।
৫) জ্বর
এই রোগে আক্রান্ত হলে বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। ফলে সংক্রমণজনিত জ্বর-জ্বালার প্রকোপ বেড়ে যায়।
৬) র্যাশ
জ্বরের সঙ্গে কারও কারও গায়ে র্যাশ বেরোতে দেখা যায়। লালচে ওই র্যাশগুলিতে অনেক সময়ে জ্বালাও করতে পারে।
৭) চোখে সংক্রমণ
জুভেনাইল আর্থ্রাইটিস হলে যে শরীর থেকে এক প্রকার তরলের ক্ষরণ বেড়ে যায়। তার প্রভাব মারাত্মক ভাবে পড়ে চোখের উপরে। তাই ঝাপসা দৃষ্টি বা চোখের সমস্যা দেখা দিলে সতর্ক হতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy