বন্ধ নাকের সমস্যায় তৎক্ষণাৎ আরাম পেতে সাহায্য করে ঘি। ছবি: সংগৃহীত।
গরম ভাতে, খিচুড়ি বা রোস্টে কয়েক ফোঁটা ঘি যেন অন্য মাত্রা এনে দেয়। তবে স্বাস্থ্যের কথা ভেবে অনেকেই ঘি খেতে চান না। অনেকেই মনে করেন, ঘি খেলে বোধ হয় মেদ বেড়ে যায়। কিন্তু চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদ, সকলেই এ কথা স্বীকার করেন যে, সামান্য পরিমাণ ঘি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। রক্তে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে ঘি। ঘিয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। তা চেহারায় বয়সের ছাপ আসতে দেয় না। ত্বক উজ্জ্বল করে। চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও এটি দারুণ উপকারী। ঘি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর, যা পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে।
এ ছাড়া আর কোন কোন উপকারে লাগে ঘি?
ঘিয়ের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ এবং ই। তা লিভারের পাশাপাশি ত্বকের স্বাস্থ্য এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধী ‘টি সেল’ উৎপাদনে সহায়তা করে ঘি। যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে মজবুত করে।
হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হল ক্যালশিয়াম। কিন্তু এই যৌগটি একা কোনও কাজ করতে পারে না। রক্ত থেকে ক্যালশিয়াম শোষণ করার জন্য প্রয়োজন ভিটামিন কে-র। ঘিয়ের মধ্যে ভিটামিন কে প্রাকৃতিক ভাবে রয়েছে। যা হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।
ওজন ঝরাতে এবং সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে গেলে বিপাকহার ভাল হওয়া প্রয়োজন। পরিমিত পরিমাণ ঘি খেলে বিপাকহার উন্নত হয়।
রান্না করতে গিয়ে হঠাৎ ছ্যাঁকা লেগে গেলে পোড়া স্থানে ঘি লাগিয়ে রাখুন। ফোস্কা পড়বে না। চটজলদি ক্ষতস্থান সারিয়ে তুলবে।
‘ল্যাক্টোজ় ইনটলারেন্স’ বা দুগ্ধজাত খাবার সহ্য হয় না যাঁদের, তাঁরাও নিশ্চিন্তে ঘি খেতে পারেন।
ঠান্ডা লেগে সর্দিতে নাক বন্ধ হয়ে গিয়েছে? কিছুতেই ঘুমোতে পারছেন না? ঘি হালকা গরম করে নাকে দিয়ে দেখতে পারেন। বন্ধ নাক খুলে যাবে। গলায় ঘা হলেও তা-ও সারিয়ে তুলবে ঘি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy