প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য মেনেই স্থূলত্ব কমানোর চার গুরুত্বপূর্ণ টোটকা বললেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার। দেহরাদূনে ন্যাশনাল গেমসের উদ্বোধনে ‘ফিট ইন্ডিয়া’ সংক্রান্ত বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দেশে স্থূলত্ব বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়াবিটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। ওজন কমাতে ঠিক কী কী করা উচিত, সে বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সূত্র ধরেই ওজন কমানোর সহজ ও কার্যকরী পন্থা জানালেন অক্ষয় কুমার।
অক্ষয়ের কথায়, “প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন তা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। আমি তো অনেক বছর আগে থেকেই বলে আসছি। স্বাস্থ্যই সব। স্থূলত্বের সঙ্গে লড়াই করতে হলে চার বিষয় খুবই জরুরি— পর্যাপ্ত ঘুম, সূর্যালোক, তেল ও প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দেওয়া এবং শরীরচর্চা।”
How true!! I’ve been saying this for years now…love it that the PM himself has put it so aptly. Health hai toh sab kuchh hai. Obesity se fight karne ke sabse bade hathiyaar
— Akshay Kumar (@akshaykumar) January 30, 2025
1. Enough sleep
2. Fresh air and Sunlight
3. No processed food, less oil. Trust the good old desi ghee… pic.twitter.com/CxnYjb4AHv
ওজন যদি দ্রুত কমাতে হয় তা হলে সবচেয়ে আগে জরুরি শরীরচর্চা। সে যে কোনওরকম শরীরচর্চাই হোক না, নিয়মিত করা উচিত বলেই মনে করছেন অক্ষয়। তাঁর কথায়, “বসে থাকবেন না, হাঁটুন। যেমন মনে হয়, যতটা পারেন শরীরচর্চা করুন। শরীরকে সক্রিয় রাখতে ও নীরোগ থাকতে হলে শরীরচর্চাই একমাত্র পথ। এ কোনও বিকল্প নেই।”
দ্বিতীয়ত পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। অভিনেতার পরামর্শ, রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে ভোরে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। অন্তত রাতে ৭-৮ ঘণ্টা টানা ঘুমোলে শরীরের ক্যালোরি কমবে। ঘুম ভাল হলে গ্রেলেন ও লেপপটিন হরমোনের ক্ষরণে ভারসাম্য থাকবে। এই দুই হরমোন খিদে ও বিপাকক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এদের তারতম্য হলেই তখন বারে বারে খিদে পেতে পারে, খাবার পর হজমেও সমস্যা হবে, ফলে মেদ জমতে থাকবে শরীরে। বিপাকক্রিায়া ঠিকমতো হলে মেটাবলিক ডিজ়অর্ডার’-এর ঝুঁকি কমবে, ফলে স্থূলত্ব হবে না।
তাজা বাতাস ও সূর্যালোকে কিছুটা সময় থাকা উচিত। অনেকেই দিনভর শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে কাজ করেন অথবা সারা দিন ঘরেই থাকেন। এতে শরীরে খুব তাড়াতাড়ি মেদ জমে যায়। দিনে অন্তত এক থেকে দেড় ঘণ্টাও যদি খোলা হাওয়া ও সূর্যালোকে থাকা যায় তা হলে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা বাড়বে, স্ট্রস হরমোন কর্টিসোলের ক্ষরণ কমবে এবং শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরিও জমবে না। পাশাপাশি অনিদ্রার সমস্যা হবে না এবং হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল থাকবে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার ও বেশি তেলমশলা দেওয়া খাবার খেলে ওজন যেমন বাড়বে তেমনি ডায়াবিটিস, কিডনির রোগের ঝুঁকিও বাড়বে। অভিনেতা বলছেন, এখন ঘরে ঘরে ডায়াবিটিস, উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় বেশির ভাগই। এর অন্যতম কারণ হল বাইরের খাবার, প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা। তেল খাওয়া কমিয়ে বরং দেশি ঘি, বাদাম, বীজ, ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি খেলে শরীরে মেদ জমবে না।