Advertisement
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Mental Health

জীবনের জটিল বাঁকে দরকার পড়লে নিতে হবে মনোবিদের সাহায্য, মত কঙ্কণা সেনশর্মার

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্কনা জানিয়েছেন, শরীরের মতোই মনের খেয়াল রাখা ভীষণ জরুরি। তিনি নিজেকে এবং তাঁর সন্তানকে সব সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে উদ্বুদ্ধ করেন।

Actress Konkona Sensharma had to take help of psychiatrist because of her mental and physical health breakdown

কঙ্কনার জীবনপাঠ। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২৪ ১৯:১১
Share: Save:

একাধারে দক্ষ অভিনেত্রী ও নিপুণ পরিচালক। বাংলা থেকে বলিউড— সর্বত্রই নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন কাজ দিয়ে। তিনি কঙ্কনা সেনশর্মা।

অভিনয় কিংবা পরিচালনার পাশাপাশি কঙ্কনা একজন মা। একা হাতে ছেলেকে বড় করছেন তিনি। স্বামী, অভিনেতা রণবীর শোরের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। তবে, তার কোনও প্রভাব কঙ্কনা তাঁর কাজের উপর পড়তে দেননি। পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনের ওঠা-পড়া তিনি সামাল দেওয়ার পাঠ নিয়েছেন তাঁর মায়ের থেকে।

তবে, জীবনে চলার পথ সব সময়ে হাতে আঁকা পোস্টকার্ডের মতো মসৃণ হয় না। কখনও সেই পথের বাঁকে এসে পড়ে গর্ত, খানাখন্দ। নিজের বিচার-বুদ্ধিতে সব সময়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায় না। তখনই মনোবিদের সাহায্য নিতে হয়। কঙ্কনাকেও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য এক সময়ে শরণ নিতে হয়েছিল মনোবিদের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্কনা জানিয়েছেন, শরীরের মতোই মনের খেয়াল রাখা ভীষণ জরুরি। তিনি নিজেকে এবং তাঁর সন্তানকে সব সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে উদ্বুদ্ধ করেন। কঙ্কনার মতে, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে পাঁচটি জিনিস ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।সেগুলি কী কী?

প্রথমটি হল, ঘুম। পর্যাপ্ত ঘুম। ঘুমে ঘাটতি হলে শরীর এবং মন, কোনওটিই সঠিক ভাবে কাজ করতে পারে না। তাই মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে যথেষ্ট ঘুমের প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন অভিনেত্রী।

দ্বিতীয়ত, সুষম আহার। ছোট থেকে বড়— সকলেই এখন বাইরের মুখরোচক খাবারের উপর নির্ভরশীল। এই ধরনের খাবার যে শুধু পেটের জন্যেই খারাপ তা নয়। কঙ্কণা বলছেন, মস্তিষ্কে প্রদাহজনিত সমস্যার কারণও এই ধরনের খাবার। যার প্রভাব গিয়ে পড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর।

Actress Konkona Sensharma had to take help of psychiatrist because of her mental and physical health breakdown

কঙ্কণা সেনশর্মা। ছবি: সংগৃহীত।

তৃতীয়টি হল, শরীরচর্চা। যদিও কঙ্কনা জানিয়েছেন, ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত শরীর, মন নিয়ে বিশেষ ভাবনা-চিন্তার করার সুযোগ তাঁর হয়নি। তবে, সন্তানজন্মের পর থেকে নিয়মিত তিনি যোগাসন করেন। ৪০-এ পৌঁছে শুরু করেছেন স্ট্রেন্থ ট্রেনিং। যা শরীর এবং মন, দুই-ই ভাল রাখতে সাহায্য করে।

চতুর্থত, প্রয়োজন পড়লে অবশ্যই মনোবিদের সাহায্য নেওয়া। মনের ভিতর কী চলছে, সেই জটিল অঙ্কের সমাধান অনেক সময়েই আশপাশের পরিচিত মানুষেরা ঠাহর করে উঠতে পারেন না। সেই কারণেই মনোবিদের সাহায্য প্রয়োজন। তাতে সঙ্কোচের কোনও কারণ নেই। কঙ্কনা নিজেও এক সময়ে মনোবিদের সাহায্য নিয়েছিলেন। সেই থেরাপিতে তাঁর যে যথেষ্ট উপকার হয়েছে, সে কথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন।

পঞ্চমত, মানুষের সঙ্গে কথা বলা। সামাজিক যোগাযোগ বাড়িয়ে তোলা। যাঁদের সঙ্গে কথা বললে মনের খিদে মেটে, জীবন সম্পর্কে নানা জটিল ধাঁধার জট খুলে যায় এমন কিছু মানুষ পাশে থাকলেও মানসিক স্বাস্থ্য ভাল থাকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mental Health Konkona Sen Sharma Mental Health Tips
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE