কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে সঞ্চিত হয়। ছবি- প্রতীকী
কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন প্রায় ঘরে ঘরে। ট্রু কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচডিএল, এলডিএল— এই চারটি মিলেই মূলত তৈরি হয় কোলেস্টেরল পরিবার। অনেকের ধারণা, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়। আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাক হারের উপর। কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে সঞ্চিত হয়। রক্তবাহকে সরু ও শক্ত করে ফেলে। রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চর্বিজাতীয় খাবার, চিপ্স, ভাজাভুজি, শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলবেন তো বটেই, সেই সঙ্গে রোজের জীবনধারায় আনতে হবে বেশ কিছু বদল। কোলেস্টেরলে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কোন বিষয়গুলি মেনে চলবেন?
১) কোলেস্টেরল বা ডায়াবিটিস— যে কোনও ক্রনিক অসুখের সমস্যা কমাতে, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। রোজের পাতে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। সবুজ শাকসব্জি, ফলমূল বেশি করে খান। বাইরের খাবার এড়িয়ে চলুন।
২) কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে এড়িয়ে চলুন মদ্যপানের অভ্যাস। অত্যধিক হারে মদ্যপান, শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যদি শরীরে কোলেস্টেরল বাসা বেঁধে থাকে, সে ক্ষেত্রে নিয়মিত মদ্যপান করলে এর মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।
৩) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন। শরীরের বাড়তি ওজন কোলেস্টেরলজনিত সমস্যা দ্বিগুণ হারে বাড়িয়ে দিতে পারে।
৪) কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? তা হলে ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন। ভাল কোলেস্টেরল এইচডিএল-এর মাত্রা কমিয়ে দেয় ধূমপানের অভ্যাস। বাড়িয়ে দিতে পারে ‘এলডিএল’(খারাপ কোলেস্টেরল)-এর মাত্রাও।
৫) নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। যোগাসন, ব্যায়াম, প্রাণায়ামের মতো শারীরিক কসরত বজায় রাখুন। এতে শরীরের অন্দরে অনেক সমস্যার সমাধান হবে নিমেষে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy