সুস্থ ভাবে দীর্ঘ দিন বাঁচতে নিরামিষের তালিকায় কোন খাবার থাকবে? ছবি: সংগৃহীত।
শরীর থাকলে অসুখ হবেই। তবে শরীরচর্চা, পুষ্টিকর খাবার ও সংযত জীবনযাপন করলে বেশি বয়স পর্যন্ত সুস্থ শরীরে বাঁচা সম্ভব। তবে সেই খাবার খেতে হবে নিয়মিত। রোগ ধরা পড়ার পরে নয়, আগেই। ধূমপান-সহ কিছু খারাপ অভ্যাস যেমন মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, তেমনই প্রতি দিনের খাদ্যতালিকায় বেশ কিছু খাবার সুস্থ শরীরে দীর্ঘ দিন বাঁচতেও সাহায্য করে। সেই খাবার যে আমিষ হতে হবে এমনটা নয়, নিরামিষ খাবার খেয়েও শরীর ভাল রাখা যায়।
সুস্থ শরীরে দীর্ঘদিন বাঁচতে কোন খাবারে ভরসা রাখবেন?
বাদাম
অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, ফ্যাটি অ্যাসিড, রকমারি খনিজে ভরপুর আমন্ড, পেস্তা, আখরোটের যে কোনও একটি নিয়মিত ২-৩টে খেলে শরীর হবে মজবুত। বয়োঃবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সেই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই ধরনের বাদাম।
বীজ
স্বাস্থ্য ভাল রাখতে তিসির বীজ, চিয়ার বীজ ছাড়াও বিভিন্ন ফল ও সব্জি, যেমন কুমড়ো বা কাঁঠালের বীজ খেতে পারেন। বিশেষত তিসি ও চিয়া বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এ ছাড়াও থাকে ফাইবার, নানা রকম খনিজ ও ভিটামিন। হার্ট-সহ শরীরের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ ভাল রাখতে এই উপাদানগুলি জরুরি।
দানাশস্য
ভাত-রুটি ছাড়াও শরীর সুস্থ রাখতে ও একই সঙ্গে ওজন কমাতে খেতে পারেন কিনোয়া, ব্রাউন রাইস, ওট্স। ভাত ও রুটি আমাদের জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছে। সারা দিনে, ভাত-রুটির কোনও একটা না খেলে মনে হয়, খাওয়াটাই হল না। কিন্তু ওজন কমাতে, সুস্থ থাকতে হলে কিনোয়া, ব্রাউন রাইস আরও ভাল উপায় হতে পারে।
শাক ও সব্জি
তরুণ প্রজন্মের পছন্দের তালিকায় সব্জি সাধারণত থাকেই না। থাকলেও বেছে বেছে। কিন্তু সব্জি না খেলে শরীরের পুষ্টিতেও ফাঁক থেকে যায়। পিৎজ়া, বার্গার খেয়েও কিন্তু পেট ভরতে পারে। তবে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। ঠিক তেমনই বেশি ভাত খেয়ে বা বেশি মাছ-মাংসে পেট ভরানোও ঠিক নয়। পটল, ঢেঁড়স, উচ্ছে, বেগুন, বরবটি, আলু, গাজর, কপি— সমস্ত সব্জিরই নিজস্ব গুণ আছে। পালং শাক থেকে নটে শাক— রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা। রকমারি ভিটামিন ও খনিজে ভরপুর শাক ও সব্জি সুস্থ শরীরের জন্য খুব জরুরি। পাশাপাশি বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কমায় এই ধরনের সব্জি।
গ্রিন টি
বার বার দুধ চা বা কালো চায়ে চুমুক না দিয়ে, দিনে এক বার অন্তত গ্রিন টি খান। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে এতে। গ্রিন টি মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, ওজন কমাতে ও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
ডায়েটে ভারসাম্য
প্রতি দিনের ডায়েটে ভারসাম্য জরুরি। উপকারী বলেই কোনও একটা খাবার অতিরিক্ত খেয়ে নেওয়া যাবে না। আবার নিরামিষ খাবার পছন্দ হলেও, প্রোটিন রয়েছে এমন খাবার, যেমন ডাল, সয়াবিন, বিভিন্ন ধরনের কড়াই খেতে হবে। বাদাম, গ্রিন টি, ওট্স বা কিনোয়া, সব্জি, ডাল নিয়মিত খাবারের তালিকায় রাখলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। যা সুস্থ শরীরে বেঁচে থাকতে সাহায্য করবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy