শহরে খুলছে অভিনব বস্ত্রবিপণি ‘জয়ী’। নিজস্ব চিত্র।
কেনাকাটা করতে গিয়ে বুঝতেই পারেন না কী কিনবেন? যদি কেউ আপনাকে পথ দেখিয়ে দেন আর আপনার জন্য সেরা পোশাকটি বেছে দিতেন, তা হলে কেমন হত? খুব তাড়াতাড়ি আপনার এই ইচ্ছে সত্যি হতে চলেছে। শহরে খুলছে অভিনব বস্ত্রবিপণি ‘জয়ী’। উদ্যোগ শহরের তরুণী সিঞ্জিনি বিশ্বাসের।
বিজ্ঞাপনী দুনিয়ায় টানা পাঁচ বছর কাজ করার পর চাকরি ছেড়ে দেন সিঞ্জিনি। কারণ তাঁর মন পড়েছিল অন্য জগতে। ছোট থেকেই নাচ শিখতে তিনি। তাই চার বছর বয়সে প্রথম শাড়ি পরেছিলেন। সেই থেকে শাড়ির প্রতি তাঁর যে টান তৈরি হয়, তা দিন দিন আরও গাঢ় হয়েছে। কোভি়ডকালীন লক়ডাউনে তাঁর হঠাৎই এক দিন মনে হয়েছিল, এই শখ নিয়ে কাজ করা যেতে পারে। তখন থেকেই অনলাইনে একটু একটু করে শুরু হয়েছিল ‘জয়ী’। দেশের নানা প্রদেশের শাড়ি ফেসবুক লাইভের মাধ্যমে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দিতেন তিনি।
এ বার সেই ‘জয়ী’ শহরের বুকে পাকাপাকি স্থান পাচ্ছে। তবে সেটা আর পাঁচটা বস্ত্রবিপণির চেয়ে আলাদা। যে কোনও সময়ের খুব বেশি ক্রেতা একসঙ্গে থাকবেন না। বড়জো়ড় এক জন বা দু’জন। আগে থেকে যোগাযোগ করে তবেই যাওয়া যাবে। নিয়ম শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এর পিছনে কারণ একটাই। প্রত্যেক ক্রেতাকে যাতে ব্যক্তিগত ভাবে সাহায্য করা যায়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা বলে জানালেন সিঞ্জিনি। তিনি বললেন, ‘‘বেশির ভাগ বিকিকিনি হয় লাইভের মাধ্যমে। বিপণি দেখলেই বুঝবেন এটা ঠিক দোকান নয়, পরিবেশ অনেক বেশি ঘরোয়া। আমি প্রত্যেককে তাঁর রুচি অনুযায়ী সেরা পোশাকটি ব্যক্তিগত ভাবে বাছাই করে দিতে চাই।’’
‘জয়ী’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে শনিবার, ১২ মার্চ। বিভিন্ন প্রদেশের শাড়ি ছাড়াও এখানে মিলবে ব্যাগ এবং ওড়নাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy