‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবির দৃশ্য। ছবি : সংগৃহীত।
বাজারে টোম্যাটো এই মুহূর্তে মহার্ঘ। মধ্যবিত্তের হেঁশেলে টোম্যাটো প্রায় উধাও। এক কেজি দাম টোম্যাটোর দাম ২০০ টাকার গণ্ডি ছুঁয়েছে। আশঙ্কা, পরের সপ্তাহে দেশের কোথাও কোথাও টোম্যাটোর দাম ৩০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্র। দেশের রাজধানী দিল্লি, এনসিআর, পটনা, লখনউ-সহ কয়েকটি বড় শহরে ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি শুরু হয়েছে টোম্যাটোর। তবে টোম্যাটোর এমন মূল্যবৃদ্ধির যুগে ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’ ছবির একটি দৃশ্যের ঝলক ফিরে ফিরে আসছে সমাজমাধ্যমে। বলা ভাল, ওই ছবির লা টোমাটিনা উৎসবের দৃশ্য ফের ভাইরাল নেটপাড়ায়। ১৫ জুলাই ১২ বছর পূর্ণ করল হৃত্বিক রোশন-ক্যাটরিনা কইফ-অভয় দেওল-ফরহান আখতার অভিনীত এই ছবি। সেই ছবির ওই বিশেষ দৃশ্যটিতে প্রায় ১৬ টন টোম্যাটো ব্যবহার হয়। যার বাজারমূল্য শুনলে বিস্মিত হবেন।
২০১১-এ মুক্তি পেয়েছিল জোয়া আখতার পরিচালিত ‘জিন্দেগি না মিলেগি দোবারা’। এই ছবি আসলে বন্ধুত্বের গল্প বলে। স্পেনে তিন বন্ধুর হলিডে জার্নি আসলে ছিল তাদের জীবনের এক নতুন মোড়। সেখানেই তিন বন্ধু অংশ নেয় সেখানকার বিখ্যাত ‘লা টোমাটিনা ফেস্টিভাল’-এ। তবে এই উৎসবের গোটাটাই ছবির প্রয়োজনে তৈরি করতে হয়। যে কারণে জোগাড় করতে হয় প্রায় ১৬ টন টোম্যাটো। স্পেন নয়, বরং পতুর্গাল থেকে নিয়ে আসা হয় ওই টোম্যাটো। যার সেই সময়েই বাজারমূল্য ছিল প্রায় ১ কোটি টাকা। ছবির প্রযোজক রিতেশ সিধওয়ানি বলেন, ‘‘উৎসবটিকে বাস্তবসম্মত দেখাতে প্রচুর টোম্যাটো পর্তুগাল থেকে আমদানি করতে হয়েছিল । কারণ স্পেনে টোম্যাটো তখনও পাকেনি। ফলে পর্তুগাল থেকেই ১৬ টন টোম্যাটো আমদানি করতে হয়েছিল। ’’ স্পেনের বুনওয়েল শহরের একটি বিরাট অংশ জুড়ে চলে শুটিং। এই ছবির শুটিং চলাকালীন গোটা শহর বন্ধ রাখতে হয়। পরিচালক জোয়া আখতারের কথায়, ‘‘টোমা্টিনা উৎসবটি এখানকার দোলের মতো। রং দিয়ে নয়, সেখানে টোম্যাটো দিয়ে হোলি খেলা হয়। দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছিলাম আমরা। তবে, বড় পর্দায় দেখতেও দারুণ লাগলেও প্রযোজকের রাতের ঘুম প্রায় উড়ে গিয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy