Yesteryear’s Heroine Nimmi was described as ‘Unkissed Girl of India’ in London dgtl
bollywood
ফেরান হলিউডি নায়কের চুম্বন, এই ‘আনকিসড গার্ল ফ্রম ইন্ডিয়া’ ছিলেন বলিউডের সেরা নায়িকা
প্রথম ছবিতে সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি আরও একটি কাজ করেছিলেন রাজ কপূর। পাল্টে দিয়েছিলেন নবাবের নাম। নতুন নাম হয়েছিল নিম্মি।
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৫:০৮
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৮
ঠাকুরদার ইচ্ছে ছিল ‘নবাব’ উপাধি পাওয়ার। কিন্তু সে সম্মান আর পাওয়া হয়নি। তাই নাতনির নাম রেখেছিলেন ‘নবাব’। ঠাকুমা আদর করে ডাকতেন ‘বানু’। জন্মের পরে বহুদিন তাঁর নাম ছিল নবাব বানু। একদিন সেই শিশু-ই হয়ে উঠল হিন্দি সিনেমার নক্ষত্র। (ছবি: আর্কাইভ)
০২১৮
নবাব বানুর জন্ম ১৯৩৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। অবিভক্ত ভারতের আগরায়। তাঁর মা ওয়াহিদা ছিলেন গায়িকা। হিন্দি সিনেমায় অভিনয়ও করেছিলেন। মুম্বইয়ে তিনি ছিলেন পরিচিত মুখ। মায়ের সঙ্গে ছোটবেলায় প্রায়ই সে কালের বম্বে, আজকের মুম্বই আসতেন নবাব। (ছবি: আর্কাইভ)
০৩১৮
পরিচালক-প্রযোজক মেহবুব খান ও তাঁর পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন ওয়াহিদা। তাঁর স্বামী আবদুল হাকিম ছিলেন সেনাবাহিনীর ঠিকাদার। মেয়ের জন্মের পরে ওয়াহিদার সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্কের অবনতি হয়। ( ছবি: ফেসবুক)
০৪১৮
একসময় স্ত্রী ওয়াহিদা এবং মেয়ে নবাবকে আগরায় ছেড়ে মেরঠে নতুন সংসার শুরু করেন আবদুল হাকিম। একাই নবাবকে বড় করছিলেন তাঁর মা। হঠাৎই বন্ধ হয়ে গেল তাঁর যুদ্ধ। নবাবের যখন এগারো বছর বয়স, মারা গেলেন ওয়াহিদা।
(ছবি: ফেসবুক)
০৫১৮
বালিকা নবাবের এ বার নতুন ঠিকানা হল ওয়াঘার ওপারে। রাওয়ালপিন্ডির কাছে অ্যাবটাবাদে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হল তার দিদিমার কাছে। কয়েক বছর পর নবাবকে নিয়ে দিদিমা চলে এলেন মুম্বই। সেখানে থাকতেন নবাবের মাসি, জ্যোতি। দিদি ওয়াহিদার মতো জ্যোতিও ছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর স্বামী জি এম দুরানি ছিলেন জনপ্রিয় প্লে ব্যাক গায়ক, অভিনেতা এবং সঙ্গীত পরিচালক। (ছবি: আর্কাইভ)
০৬১৮
নবাবের পাশে দাঁড়ালেন মেহবুব খান। তখন তাঁর ছবি ‘আন্দাজ’-এর শুটিং চলছিল। সেটে তিনি ডাকলেন নবাবকে। কারণ তিনি শুনেছিলেন মায়ের মতো ওয়াহিদার মেয়েরও অভিনয়ের ঝোঁক আছে। স্টুডিয়োর সেটে পঞ্চদশী নবাবকে দেখলেন রাজ কপূর।
(ছবি: ফেসবুক)
০৭১৮
তিনি তখন তাঁর ছবি ‘বরসাত’-এর জন্য অভিনেতা অভিনেত্রী খুঁজছিলেন। নবাবের নিষ্পাপ মুখ ভাল লাগল রাজ কপূরের। তিনি নবাবকে সুযোগ দিলেন সেই ছবিতে। প্রেম নাথের বিপরীতে এক পাহাড়ি মেষপালিকার চরিত্রে। (ছবি: ফেসবুক)
০৮১৮
প্রথম ছবিতে সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি আরও একটি কাজ করেছিলেন রাজ কপূর। পাল্টে দিয়েছিলেন নবাবের নাম। নতুন নাম হয়েছিল নিম্মি। সেই নামই তিনি ব্যবহার করেছেন পরে। বক্স অফিসে চূড়ান্ত সফল ‘বরসাত’ নিম্মির পায়ের নীচে জমি শক্ত করে। সবার নজর কাড়েন এই নবাগতা। (ছবি: ফেসবুক)
০৯১৮
এর পর অভিনয়ের সুযোগ পেতে সমস্যা হয়নি নিম্মির। তাকাতে হয়নি পিছনে ফিরে। রাজ কপূরের সঙ্গে ‘বাঁবরা’, দেব আনন্দের বিপরীতে ‘সাজা’, ‘আঁধিয়াঁ’ ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। সবথেকে জনপ্রিয় ছিল দিলীপ কুমার-নিম্মি জুটি। তাঁদের জুটির ‘দিদার’ এবং ‘দাগ’ সুপারহিট ছবি ছিল পঞ্চাশের দশকে। (ছবি: ফেসবুক)
১০১৮
১৯৫২ সালে মুক্তি পায় মেহবুব খানের বড় বাজেটের ছবি ‘আন’। দিলীপ কুমার, প্রেম নাথের পাশাপাশি দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেন নিম্মি। এটা ছিল আর এক নায়িকা নাদিরার প্রথম ছবি। (ছবি: ফেসবুক)
১১১৮
‘আন’-এর নির্মাণ শেষ হয়ে যাওয়ার পর আরও এক বার শুটিং করতে হয়। কারণ নিম্মির ভূমিকা ছবিতে দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া ডিস্ট্রিবিউটরদের পছন্দ হয়নি। ফলে আরও কিছুটা বাড়াতে হয় নিম্মি অভিনীত দৃশ্য। (ছবি: ফেসবুক)
১২১৮
বিদেশেও সমাদৃত হয় ‘আন’। মুক্তি পেয়েছিল এর ইংরেজি সংস্করণও। ছবি প্রদর্শন উপলক্ষে লন্ডনে গিয়েছিলেন নিম্মি। সেখানকার একটি ঘটনা স্মরণীয় হয়ে আছে। প্রথম আলাপের পরে নিম্মির হাতে সৌজন্য-চুম্বন করতে গিয়েছিলেন মার্কিন অভিনেতা এরল ফ্লিন। (ছবি: ফেসবুক)
১৩১৮
দ্রুত হাত সরিয়ে নিয়েছিলেন নিম্মি। বলেছিলেন, তিনি একজন ভারতীয় মহিলা। তাঁর সঙ্গে এ রকম করতে পারেন না ফ্লিন। এই ঘটনা জায়গা করে নিয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। নিম্মিকে বলা হয়েছিল ‘আনকিসড গার্ল ফ্রম ইন্ডিয়া’। ২০১৩ সালের এক সাক্ষাৎকারে নিম্মি বলেছিলেন, সে সময়ে তিনি হলিউড থেকে চারটি ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পান। কিন্তু হিন্দি ছবির কেরিয়ারেই মন দেবেন বলে সে সব সুযোগ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। (ছবি: ফেসবুক)
১৪১৮
নিম্মির দু’টি উল্লেখযোগ্য ছবি ‘বসন্ত বাহার’ এবং ‘ভাই ভাই’ মুক্তি পায় ১৯৫৬ সালে। তাঁর ফিল্মোগ্রাফিতে অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবি হল ‘আলিফ লায়লা’, ‘কুন্দন’, ‘চার প্যায়সে’, ‘রাজধানী’, ‘অঙ্গুলিমাল’, ‘মেরে মেহবুব’, ‘ডাল মে কালা’ এবং ‘আকাশদীপ’। (ছবি: ফেসবুক)
১৫১৮
ষাটের দশকে সাধনা, নন্দা, আশা পারেখ, মালা সিনহা, সায়রা বানুর মতো একঝাঁক নতুন মুখ চলে আসেন ইন্ডাস্ট্রিতে। কিছুটা পাল্টে যায় ‘নায়িকার’ সংজ্ঞা। তখনও নিজের তারকা পরিচয় ধরে রেখেছিলেন নিম্মি। কেরিয়ারের ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা শুরুর আগেই তিনি অবসরের সিদ্ধান্ত নেন। (ছবি: ফেসবুক)
১৬১৮
ভেবেছিলেন তাঁর শেষ ছবি ‘লভ অ্যান্ড গড’-কে স্মরণীয় করে রাখবেন নিজের অভিনয়ে। কিন্তু নিম্মির এই ইচ্ছে অধরাই থেকে যায়। পরিচালক কে আসিফের মৃত্যু-সহ নানা কারণে ছবিটির কাজ অসমাপ্ত থেকে যায়। শুটিং শেষ হওয়ার বহু বছর পরে এই ছবিটি অর্ধসমাপ্ত অবস্থাতেই মুক্তি পেয়েছিল প্রয়াত কে আসিফের স্ত্রী আখতার আসিফের উদ্যোগে। (ছবি: ফেসবুক)
১৭১৮
তাঁর হেয়ার ড্রেসার একটি ফিল্মপত্রিকায় চিত্রনাট্যকার এস আলি রাজার ছবি তাঁকে দেখান। বলেন, রাজাকে কেন বিয়ে করছেন না তিনি? পরে নিম্মির এই হেয়ার ড্রেসার এবং আর এক অভিনেতা মুকরির উদ্যোগে ঘনিষ্ঠ হয় রাজা-নিম্মি সম্পর্ক। ১৯৬৫ সালে চিত্রনাট্যকার এস আলি রাজাকে বিয়ে করেন নিম্মি। (ছবি: ফেসবুক)
১৮১৮
২০০৭ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে একাই থাকেন অশীতিপর নিম্মি। পরবর্তী কালে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, যশ-খ্যাতি-অর্থ সত্ত্বেও সন্তানহীনতার দুঃখ তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে কুরে কুরে খেয়েছে। আত্মীয়ার ছেলেকে দত্তক নিয়েছিলেন নিম্মি। সেই দত্তকপুত্র এখন লন্ডনে থাকেন। (ছবি: ফেসবুক)