নুসরত জাহান এবং যশ দাশগুপ্ত।
ধীরে ধীরে একসঙ্গে প্রকাশ্যে আসছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত এবং সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহান। বুধবার সকালে জলমগ্ন কলকাতার রাস্তায় দেখা গেল দু’জনকে হাতে হাত ধরে। পার্ক স্ট্রিটের কোনও এক রেস্তরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সংবাদ মাধ্যমের যে ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে, যশ ও নুসরত রেস্তঁরায় বসে রয়েছেন। তার পর দেখা যাচ্ছে, যশ আগে আগে হেঁটে যাচ্ছেন, রাস্তার অবস্থা বুঝে নুসরতের হাত ধরে তাঁকে নিয়ে আসছেন।
অন্তঃসত্ত্বা নুসরত চোখে চশমা পরে, চুল আলতো করে বেঁধে রেখেছেন। খুব সাবধানে পথের দিকে চোখ রেখে হাঁটছেন তিনি। তাঁর বেবি বাম্প স্পষ্ট। তাঁদের পিছনে মাথায় ছাতা ধরে রয়েছেন তাঁদের সহকারী বা গাড়ির চালক।
বৃষ্টি মাথায় গাড়ির ভিড়ের মধ্যে দিয়ে পা টিপে টিপে হাঁটছেন দুই ‘বিশেষ বন্ধু’। চার দিকে মানুষ কী ভাবছেন, বলছেন, সে সবের তোয়াক্কা না করে এগিয়ে চলেছেন দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী। সম্ভবত নিজেদের গাড়ির দিকে এগিয়ে চলেছেন।
সেই ছোট্ট একটি ভিডিয়ো দেখেই বোঝা গেল, যশ কী ভাবে তাঁর ‘বিশেষ বন্ধু’র পাশে দাঁড়িয়েছেন। রাস্তায় হাঁটার সময়ে নুসরতের দিকে তাঁর ভরসার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মধ্যেই সেই আভাস পাওয়া গেল।
আগামী মাসেই সন্তান জন্ম দেওয়ার কথা নুসরতের। তারই আগে নিজেকে আদরে রাখার জন্য, যত্নে রাখার জন্য তিনি বেরিয়ে পড়লেন বৃষ্টিভেজা কলকাতায়।
এরই মাঝে গাড়িতে বসে একটি রিল ভিডিয়ো বানিয়ে পোস্ট করেছেন নুসরত। গাড়ির সামনের কাচের ভিতর থেকে বাইরে বৃষ্টিভেজা শহরটিকে দেখা যাচ্ছে। ভিডিয়োর সঙ্গে বর্ষার গান বাজিয়েছেন হবু মা।
তাঁরা যে ক্রমশ নিজেদের সম্পর্কের উপর থেকে পর্দা সরাচ্ছেন, তা এ বারে স্পষ্ট। দিন কয়েক আগে তাঁদের পোষ্যকে পশু চিকিৎসালয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। সে কথা সামনে আসার পরেও লোকানোর চেষ্টা করেননি। বরং উদ্যোগ নিয়ে সকলকে জানিয়েছেন।
যশ এবং নুসরত একসঙ্গে ছবি না দিলেও সেই নির্দিষ্ট পশু চিকিৎসা কেন্দ্র তাদের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে যশরতের সারমেয়র একাধিক ভিডিয়ো এবং ছবি পোস্ট করে। কেবল তাই নয়, যশ এবং নুসরত, দু’জনকেই ট্যাগ করা হয় সেই স্টোরিগুলিতে। যদিও কোনও ছবিতেই যশরত নেই, কিন্তু চিকিৎসা কেন্দ্রের কর্মীরা তাঁদের সারমেয়র সঙ্গে ছবি দিয়ে তাঁদের নাম উল্লেখ করেছেন।
সেই ছবিটি অবশ্য নুসরতও তাঁর স্টোরিতে শেয়ার করেছেন। চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রোফাইলে পোষ্যের স্নান করার ভিডিয়ো দেখা গিয়েছে। তার আগে পর্যন্ত কেবলমাত্র পোষ্যের ছবি দেখে বোঝা যেত যে একই পোষ্যের কথা বলছেন তাঁরা। তিন জনের সংসার সম্পর্কে কেবল ধারণা করা যেত। সে দিন থেকে তিন জনের সংসারের নাগাল পাওয়া যায়। আর বুধবার তাঁদের বিশেষ সম্পর্কের প্রমাণও প্রকাশ্যে আসে। খুব তাড়াতাড়ি সেই সংসারে যে আরও এক অতিথি আসবে, তাও স্পষ্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy