‘আমার মনে হয় এই সব দিনগুলো লন্ডন, আমেরিকায় সেলিব্রেট করা উচিত। কারণ, এখানে তো ছেলে আর মেয়েদের এক চোখে দেখাই হয় না!’ প্রতি দিনের ট্রোলিংয়ের জবাব এমনই চাঁচাছোলা ভাষায় জানালেন মধুমিতা সরকার। মনের কথা বলতে বেছে নিলেন নারী দিবসকেই। সকাল থেকে সবাই যখন নারী বন্দনায় ব্যস্ত, অভিনেত্রী তাঁর পাতায় পোস্ট করা একের পর এক ট্রোলিং পড়তে পড়তে সামনে নিয়ে এলেন নারীদের প্রকৃত অবস্থান।
কী বললেন মধুমিতা? অভিনেত্রী কথা শুরু করেছেন তাঁকে নিয়ে অনুরাগীদের কটাক্ষ দিয়ে। যেমন, মধুমিতার হট প্যান্ট পরা ছবি দেখে জনৈক নেটাগরিকের মন্তব্য, ‘ছেলেরা ফুল প্যান্ট আর মেয়েরা কেন হাফ প্যান্ট পরবে?’ কিংবা ‘তুমি তো বেবি হয়ে গিয়েছ। তোমাদের স্কুলে এমন খোলা চুলে যেতে দেয়! আমাদের তো পিছনে মারত।’ খোলামেলা পোশাক পরার দায়ে এক নেটাগরিকের কটাক্ষ, ‘অভিনয়ে টিকতে না পেরে অশ্লীলতার পথ বেছে নিলেন মধুমিতা! আমি তো ভেবেছিলাম ভুল করে ‘নটি আমেরিকা’তে ঢুকে গিয়েছি।’ এমনই বাছা বাছা কিছু মন্তব্য শোনানোর পরেই অভিনেত্রীর ব্যঙ্গোক্তি, ‘সারা বছর এমন সুন্দর সুন্দর কমেন্টের বন্যায় ভরিয়ে দিয়ে এই একটা দিন নারী দিবসের শুভেচ্ছা না জানালেই নয়?’
তাঁর মতে, যে দেশে এখনও লিঙ্গবৈষম্যই ঘোচেনি, সেই দেশে নারী দিবস পালনের কোনও যৌক্তিকতাই তিনি খুঁজে পান না। বরং যে সমস্ত দেশে নারী-পুরুষ সমান সমান, সেখানেই পালিত হোক এই বিশেষ দিন। মধুমিতার ক্ষোভ, একটা ছেলে যদি খালি গায়ে অথবা স্যান্ডো গেঞ্জি পরে ছবি পোস্ট করে তা হলে কোনও দোষ নেই। কিন্তু একটি মেয়ে যদি কাজের জন্য শাড়ি বা চুড়িদার ছাড়া মিনি স্কার্ট বা হট প্যান্ট পরে তখন সে কী হয়ে যায়? ‘নটি আমেরিকা’র আর্টিস্ট!
মধুমিতার কড়া জবানি এখানেই কিন্তু স্তব্ধ হয়নি। তাঁর প্রেম, তাঁর সজ্জা, তাঁর অভিনয় নিয়ে দিনের পর দিন ট্রোলিং সহ্য করার পর খুল্লমখুল্লা সাবধান করলেন তথাকথিত অনুরাগীদের, ‘আমার কিন্তু এতে কিচ্ছু যায় আসে না।’ দাবি, ‘আগে ঠিক করে মেয়েদের সম্মানটা দিতে শিখুন।’ তার পর ‘উইমেন’ এমনিই ‘হ্যাপি’ হয়ে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy