আরিয়ান খান (বাঁ দিকে)। ভারতী সিংহ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
২০২০ সালের মাদক মামলায় অভিযুক্ত কৌতুকশিল্পী ভারতী সিংহ ও তাঁর স্বামী হর্ষ লিম্বাচিয়ার জামিন খারিজ করতে অস্বীকার করল স্পেশ্যাল কোর্ট। তিন বছর আগে তাঁদের মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ৮৬.৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (এনসিবি) অধিকারিকেরা। এনসিবির এক আধিকারিক জানান, ভারতী এবং তাঁর স্বামী হর্ষ দু’জনেই গাঁজা সেবনের কথা স্বীকার করেছেন। এই অপরাধেই ২০২০ সালে তাঁদের গ্রেফতার করে এনসিবি। প্রায় দেড় দিন এনসিবির হেফাজতে থাকার পর তাঁদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
উল্টে এনসিবির দিকে প্রশ্ন তুলেছে আদালত। তাঁদের জামিনের বিরুদ্ধে আবেদন না করা এনসিবির দোষ বলে চিহ্নিত করেছে আদালত। তাঁদের জামিন খারিজ করার কথাও উঠেছে। এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন ভারতী এবং হর্ষের আইনজীবী। তাঁর আবেদন, নারকো়টিক্স ড্রাগস এবং সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স (এনডিপিএস) আইন অনুযায়ী যে পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয়েছে তাঁদের ফ্ল্যাট থেকে তা, এতটাই স্বল্প যে, সে ক্ষেত্রে কোনও মামলা দায়ের হয় না।
আর তা ছাড়া, আইনি ভাষায় জামিন মঞ্জুর হয়ে গেলে তখন আর তা খারিজ করা যায় না। যদি না অভিযুক্ত কোনও আইনের বিরোধিতা করেন কিংবা অপব্যবহার করেন। হর্ষ এবং ভারতীর আইনজীবীর দাবি, এ ক্ষেত্রে তেমন কিছুই ঘটেনি।
তিন বছর আগে সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর পর বলিউডে মাদকযোগের তদন্তে নেমে বিভিন্ন তারকার বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনসিবি। অভিনেতার মৃত্যুর পর থেকেই বলিউডের একের পর এক তারকার মাদকযোগের কথা উঠে এসেছে। সে সময় ভারতী এবং হর্ষ ছাড়াও ছোট পর্দার অ্যাবিগেল পাণ্ডে, সনম জোহরদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় এনসিবি।
২১ নভেম্বর ২০২০ সালে গ্রেফতারের পর ৪ ডিসেম্বর অবধি তাঁদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয় সেখানে। এর পর ভারতীকে কল্যাণ জেলে এবং তাঁর স্বামী হর্ষকে তালোজা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে যাওয়ার পরেই আইনজীবী অয়জ খানের সাহায্যে তারকা দম্পতি আদালতে জামিনের আবেদন জানান। আবেদনে জানানো হয়, পূর্বে তাঁদের কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। ফলে জামিন পেলেও পলাতক হওয়ার কোনও প্রশ্ন উঠছে না। এর পর তাঁদের জামিন মঞ্জুর করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy