সৌমিতৃষা কুণ্ডু
জি বাংলার ‘মিঠাই’ বেশ কিছু সপ্তাহ ধরে ‘বাংলা সেরা’, ‘স্লট লিডার’। কিসের জোরে টানা শীর্ষস্থান দখল করে রেখেছে সে? এই নিয়ে ভিন্ন মত টেলিপাড়ায়, অনুরাগী মহলে। ‘মিঠাই’ ফ্যান পেজে অনুরাগীদের মন্তব্য, একের পর এর মোচড়, ধারাবাহিকের মুখ্য ২ চরিত্র মিঠাই-সিদ্ধার্থের রসায়ন ‘মিঠাই’-এর সাফল্যের নেপথ্য কারণ। এ ছাড়াও, শ্বশুরবাড়ির সবার সঙ্গে মিঠাইয়ের মানিয়ে নেওয়া, পারিবারিক টানাপড়েন আলাদা ভাল লাগা তৈরি করে দিয়েছে। এ দিকে টেলিপাড়ার দাবি, ‘মিঠাই’-এ নাকি ‘খড়কুটো’র ছায়া! সেই জোরে ধারাবাহিকের এত রমরমা।
কী কী মিল রয়েছে ‘খড়কুটো’ আর ‘মিঠাই’-এর মধ্যে? টেলিপাড়ার মতে, ২ ধারাবাহিকের কেন্দ্রেই যৌথ পরিবার। সৌজন্য-গুনগুনের মতোই মিঠাই-সিদ্ধার্থের টম-জেরির মতো মিষ্টি খুনসুটি। পরিবারের সবার সঙ্গে মিঠাইয়ের মিলেমিশে থাকা মনে পড়িয়ে দিয়েছে ‘খড়কুটো’। দাবি, একটি ধারাবাহিকের ছায়া অবলম্বনে তৈরি হয়ে তাকেই ছাপিয়ে গিয়েছে নতুন ধারাবাহিক। সত্যিই কি সেটাই ঘটেছে? আনন্দবাজার ডিজিটালকে পরিচালক রাজেন্দ্রপ্রসাদ দাস জানিয়েছেন, ‘‘খড়কুটো দেখে মিঠাই তৈরি হয়েছে--- এই কথাটি আমিও শুনেছি। কেন এ কথা উঠছে জানি না। একমাত্র দাম্পত্য খুনসুটি ছাড়া আমি অন্তত কোনও মিল খুঁজে পাইনি।’’ তাঁর দাবি, ‘মিঠাই’-এর মধ্যে সেরা হওয়ার আরও অনেক উপাদান আছে। যেমন? রাজেন্দ্র প্রসাদের মতে, পারিবারিক গল্প, ২ বিপরীত মেরুর মানুষের বিয়ে, দাম্পত্য প্রেম, প্রত্যেক অভিনেতার জীবন্ত অভিনয় এবং প্রতিটি চরিত্রের বাস্তবতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এই ধারাবাহিকের ইউএসপি।
পরিচালকের যুক্তি, ‘মিঠাই’-এর প্রতিপক্ষ ছিল স্টার জলসার ‘মোহর’। ২ ধারাবাহিকের গল্পে কিন্তু কোনও মিল নেই।
‘মিঠাই’ ওরফে সৌমিতৃষা কুণ্ডুও কি পরিচালকের মতেই বিশ্বাসী? অভিনেত্রীর কথায় আত্মবিশ্বাসের সুর, ‘‘গল্প শুনেই মনে হয়েছিল, এই ধারাবাহিক দর্শক পছন্দ করবেন। দেখলাম, আমার ভাবনাই সত্যি হল।’’ সৌমিতৃষার আরও যুক্তি, এই প্রথম কোনও ধারাবাহিক মিষ্টি বিক্রেতাদের অন্দরমহল দেখাল। পাশাপাশি, মিষ্টি তৈরির কারখানাও। দর্শক সব সময়েই নতুনত্ব চান। তাই প্রথম দিন থেকে রেটিং চার্টে ভাল ফল করেছে ‘মিঠাই’। পরিচালক ধারাবাহিকে বাস্তবতার কথা বলেছেন। গ্রাম্য মহিলা মিষ্টি বিক্রেতার সঙ্গে কলকাতার বনেদি মিষ্টি বিক্রেতার বিয়ে দর্শকের চোখে কতটা বাস্তব? অভিনেত্রীর দাবি, জনাই গ্রাম নয়, শহরতলি। সেখান থেকে বহু মেয়ে মিষ্টি বিক্রি করতে আসেন কলকাতায়। এ ছাড়া, মোদক পরিবার আগে জনাইতে মিঠাইদের প্রতিবেশী ছিল। সিদ্ধার্থ আর মিঠাইয়ের মা ‘সই’ ছিলেন। ঠিক করেছিলেন মিঠাই-সিদ্ধার্থের বিয়ে দেবেন। পরে তাঁরা কলকাতায় চলে আসেন। ফলে, কোনও অবাস্তব গল্প দেখানো হচ্ছে না।
‘মিঠাই’, ‘খড়কুটো’র মিল নিয়ে মুখ খুলেছেন সৌমিতৃষাও। তিনিও জানান, ‘মোহর’ আর ‘মিঠাই’-এর সম্প্রচারণ সময় এক ছিল। তাই একটা সময় পর্যন্ত ‘মোহর’ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। বরাবর ‘টপার’দের সঙ্গেই লড়তে হয়েছে ‘মিঠাই’কে? ‘‘কথাটা ১০০ শতাংশ খাঁটি’’ বললেন সৌমিতৃষা। জানালেন, শঙ্খ-মোহর জুটিও দর্শকদের আশীর্বাদে সেরা ছিল। এও জানাতে ভুললেন না, ধারাবাহিকগুলির মধ্যে পারস্পরিক কিছু না কিছু মিল থাকেই। একই গল্প ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পরিবেশন করা হয়। তার মানে এই নয়, একে অন্যকে অনুসরণ বা অনুকরণ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy