সুনীল দত্তের সঙ্গে সঞ্জয় দত্ত (বাঁ দিকে)। সুনীলের জন্মদিনে বাবার স্মৃতি ফিরে দেখলেন সঞ্জয় দত্ত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
ষাট এবং সত্তর দশকের বলিউডে সুনীল দত্ত ছিলেন অন্যতম জনপ্রিয় তারকা। বেশ কিছু ছবি পরিচালনাও করেছিলেন তিনি।
১৯৮৪ সালে রাজনীতিতে যোগ দেন অভিনেতা। রাজনীতিক হিসাবেও সমীহ, সম্ভ্রম পেতেন তিনি। ৬ জুন, সুনীলের জন্মদিনে সঞ্জয় দত্ত ফিরে দেখলেন বাবার স্মৃতি।
সঞ্জয় বিশ্বাস করতেন, রাজনীতির জগতে সুনীল ছিলেন বিরল গোত্রের মানুষ। যে ধরনের ব্যক্তিত্বের মানুষ সাধারণত রাজনীতিতে দেখা যায়, সুনীল তেমনটা ছিলেন না, দাবি সঞ্জয়ের।
নব্বইয়ের দশকে এক সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় জানিয়েছিলেন, রাজনীতিকে কেন্দ্র করে বাবার সঙ্গে নিত্য বিবাদ হত তাঁর। সঞ্জয় মনে করতেন রাজনীতি ছেড়ে দেওয়া উচিত তাঁর বাবার। সঞ্জয়ের বক্তব্য ছিল, “বাবাকে সবাই বোকা বানাত, নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাত, ব্যবহার করত। আমি চাইতাম, বাবা এটা বুঝুন। বাবা আসলে ছিলেন বেশি রকমের ভালমানুষ, যত দিন সুযোগ পেয়েছেন, মানুষকে সাহায্য করে গিয়েছেন।”
সঞ্জয় বিশ্বাস করতেন, রাজনীতি করার পক্ষে সুনীল ছিলেন বেশি রকমের ভাল এবং সৎ। রাজনীতি এমন মানুষদের জন্য নয়।
তাঁর কথায়, “নিয়মিত তর্ক হত আমাদের। আমি চাইতাম, বাবা রাজনীতি ছেড়ে দিন। বাবা দেশের ভাল করতে চাইতেন, কিন্তু এটা বুঝতেন না যে, তাঁর একার চেষ্টায় কিছু করা সম্ভব নয়। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই বাবাকে খুব দুশ্চিন্তায় ভুগতে দেখেছি।”
সুনীলের পরিচালিত ‘রকি’ ছবি দিয়েই বলিউডে নায়ক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন সঞ্জয়। তিনি বলেছিলেন, “আমি চেয়েছিলাম, বাবা ছবি তৈরি করুন। এমন কিছু করুন, যা তিনি সারা জীবন ধরে করে এসেছেন।”
সঞ্জয় জানান,বাবা-ছেলের সম্পর্ক নিয়েও নানা রকম ভাবত লোকজন। মায়ের কোলের ছেলে বলেই সকলে জানত তাঁকে। তবে সঞ্জয়ের দাবি, তাঁর উপরে তাঁর বাবার প্রভাবই ছিল বেশি। মূল্যবোধ, জীবনের অগ্রাধিকার ইত্যাদি নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হত।
ছেলে হিসাবে জীবনের কঠিন মুহূর্তে বাবার সাহচর্য পেয়েছিলেন সঞ্জয়। ২০০৫ সালে ৭৫ বছর বয়সে প্রয়াত হন সুনীল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy