হৃতিক রোশন। ছবি ফেসবুক থেকে।
সুপারস্টার হওয়ার আগে আম-আদমির মতো অটো-বাসে যাতায়াত করতেন হৃতিক রোশন! এক সাক্ষাৎকারে ছেলের সম্পর্কে এমন কথাই জানিয়েছেন পরিচালক তথা অভিনেতা রাকেশ রোশন। মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর রাকেশের জন্মদিন। হৃতিক সম্পর্কে অনেক স্মৃতি উঠে এসেছে রাকেশের কথায়।
পরিচালক হিসাবে তত দিনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন রাকেশ। নাম-যশ-খ্যাতি— সবই অর্জন করেছেন তিনি। কিন্তু ছেলেকে বাড়ির গাড়িতে চড়তে দেননি রাকেশ। অভিনেতা হিসাবে রুপোলি পর্দায় আবির্ভাবের আগে রাকেশের সঙ্গে সহকারী পরিচালক হিসাবে ফিল্মি দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন হৃতিক। কড়া অনুশাসনের মধ্যে সে সময় বলিপাড়ার এই সুদর্শন অভিনেতাকে রেখেছিলেন রাকেশ।
রাকেশের কথায়, ‘‘কলেজ পাশ করার পর ‘স্পেশাল এফেক্টস’ শেখার জন্য বিদেশে সুযোগ পেয়েছিল ও। কিন্তু ও এখানেই (মুম্বই) আমার সঙ্গে ‘করণ অর্জুন’ ছবিতে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সহকারী পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করে। আমি খুব কঠোর ছিলাম ওর প্রতি। আমার গাড়িতে ওকে চড়তে দিতাম না। অন্য সহকারী পরিচালক যে ভাবে সেটে থাকতেন, তেমন ভাবেই ওকে থাকতে দিতাম। পরিবারের গাড়িতেও চড়ার অনুমতি ছিল না ওর। বাস, অটোয় করে যাতায়াত করত। সেটে ও আমার ছেলে নয়, সহকারী পরিচালক ছিল। তাই কোনও বাড়তি সুবিধা দিইনি ওকে।’’
শাহরুখ-কাজল-সলমন খান অভিনীত ‘করণ অর্জুন’ ছাড়াও পরিচালক রাকেশের ‘খেল’, ‘কোয়লা’র মতো ছবিতে সহকারী পরিচালকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল হৃতিককে। পরে রাকেশরই পরিচালনায় ‘কহো না প্যায়ার হ্যায়’ ছবির হাত ধরে নায়ক হিসাবে বলিপাড়ায় আত্মপ্রকাশ ঘটে হৃতিকের। প্রথম ছবিতেই বক্স অফিসে ঝড় তুলে রাতারাতি সুপারস্টার হন। পরিচালক হওয়ার আগে রাকেশও ছেলের মতো অভিনেতা ছিলেন। তবে অভিনেতা হিসাবে সে ভাবে ছাপ ফেলতে পারেননি তিনি।
হৃতিকের তারিফ করে ‘গর্বিত’ বাবা বলেছেন, ‘‘ও খুবই কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমি অভিনেতা হিসাবে ব্যর্থ। কিন্তু সব বাবার মতো আমিও চেয়েছিলাম আমার ছেলের স্বপ্নপূরণ হোক। হৃতিক যা করেছে, তা আমি করতে পারিনি। ও সুপারস্টার। আমায় গর্বিত করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy