২০০৪-এ পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেই ‘টিনসেল নগরী’তে বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন মল্লিকা। ফাইল চিত্র।
তিনি ‘সেক্স বম্ব’, শুধু বিকিনিতেই তাঁকে সবচেয়ে ‘হট’ লাগে— এ সব শুনে শুনে হতাশ মল্লিকা শেরওয়াত। এখনও তিনি বলিউডে ‘যৌনতার প্রতীক’, কী করে ভাবমূর্তি বদলে নায়িকা হবেন, ভেবে পান না। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বললেন, “‘প্যায়ার কে সাইড এফেক্টস’-এর মতো হৃদয় ছোঁয়া কমেডি ছবিও তো করেছি! ‘ওয়েলকাম’, ‘দশাবতরম’-এ অভিনয় করেছি। জ্যাকি চ্যান আমায় কাজের প্রস্তাব দিয়েছেন। সেই সব কাজ উপেক্ষা করে একপেশে তকমা দিয়ে রাখার ব্যাপারটা সত্যিই অবাক করে।”
যদিও বলিউডের ইঁদুরদৌড় থেকে দূরে থাকতেই ভালবাসেন মল্লিকা। অন্যান্য তারকার মতো ভাড়া করা জনসংযোগকারীও রাখেননি। নিজের কাজ নিজেই সামলান অভিনেত্রী। কখনও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কখনও ভারত। বিভিন্ন দেশে চুক্তিতে কাজ করে চলেন। তার পরেও ভাবমূর্তি ঠিক নেই মল্লিকার। তাঁকে অভিনেত্রীর বদলে ‘আইটেম’ কিংবা যৌনতার প্রতীক হিসাবেই দেখা হয় এখনও, আক্ষেপ ‘মার্ডার’-এর নায়িকার।
মল্লিকার কথায়, “আমি নেটমাধ্যম পছন্দ করি না। নেতিবাচক দিক এত বেশি যে, রীতিমতো ঘৃণা করি বলা যায়। আমি নিজের সম্পর্কে অন্যের মতামত শুনতে চাই না।’’ তবে হরিয়ানার মেয়েরা যখন তাঁকে চিঠি লিখে জানায়, “যা করেছ, তোমার নিজের টাকার জোরে। বাবার নয়, স্বামীর নয়, তোমার রোজগারে তুমি স্বাবলম্বী দিদি! তুমি আমাদের গর্ব।”— তখন ভাল লাগে মল্লিকার। অভিনেত্রী বলেন,“আমার যে ভাবমূর্তি মিডিয়া তৈরি করেছে, সেটা গায়ে মাখলে চলবে না আসলে। আমি ভাল কাজের প্রস্তাবের অপেক্ষা করছি। ভাল কাজ করার চেষ্টা করে চলেছি।”
২০০৪-এ পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেই বিতর্কের ঝড় তুলেছিলেন ‘টিনসেল নগরী’তে। মল্লিকার মোহময়ী উপস্থিতি, শরীরী আবেদনে উত্তাল ছিল বলিউড। তাঁর শরীরী ভাষায় পর্দায় আটকে যেত আমজনতার চোখ। বলিউডের সমালোচকদের চোখে মল্লিকা শেরাওয়াত ছিলেন ‘শরীরসর্বস্ব নায়িকা’। উইকিপিডিয়ার বিবরণীতেও তাঁকে বলিউডের ‘যৌন প্রতীক’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এই ভাবমূর্তি কী ভাবে ঠিক করা যায়, চিন্তিত মল্লিকা।
তাঁর দাবি, “উইকিপিডিয়ায় কারা এ সব লেখে? মানুষ কি এগুলোকেই গুরুত্ব দেন? আমি নিজেও জানি না, কী ভাবে ঠিক করা যাবে এটা। তবে আমায় সত্যিই জানতে-বুঝতে হলে, আমাকেই দেখতে হবে। উইকিপিডিয়া বা নেটমাধ্যমে প্রচারিত ভুয়ো তথ্যের ভিত্তিতে দেখা ঠিক নয়।”
‘মার্ডার’-এর পর আন্তর্জাতিক প্রকল্পে ডাক পেয়েছিলেন মল্লিকা। জ্যাকি চ্যানের সঙ্গে চিনের ছবি ‘দ্য মিথ’-এ অভিনয় করেছিলেন। সেই অভিজ্ঞতা এতই সুন্দর যে, ভুলতে পারেননি এখনও। জানান, জ্যাকির মুখেই শুনেছিলেন নানা অজ্ঞাত তথ্য।
বর্তমানে আসন্ন ছবি ‘আর কে’-র প্রচারে ব্যস্ত মল্লিকা। প্রচারে এসে এক সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘‘জ্যাকি আমায় ভিডিয়ো টেপ দেখিয়েছিলেন। ‘দ্য মিথ’-এর জন্য এত জন বলিউড অভিনেত্রী অডিশন দিয়েছেন, আমি জানতামই না। না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু চরিত্রটা আমিই পেয়েছিলাম। সে জন্য গর্ব বোধ করি। নির্মাতারা আমার ফিটনেস পছন্দ করেছিলেন। যে হেতু আমি নিয়মিত যোগাসন করি।’’
মল্লিকা জানান, ক্রমাগত কটাক্ষের শিকার হয়েছেন এক সময়। তাঁর শরীরী আবেদন নিয়ে প্রতিনিয়ত চর্চা চলত। শুনতে হত, এই শরীরে বিকিনি ছাড়া অন্য কিছুই মানায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy