সোনি জানিয়েছিলেন, যখন মহেশের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়নি, সেই শুরুর দিনগুলোতে কিরণ ও তাঁর সম্পর্ক ছিল লড়াইয়ের। ছবি—সংগৃহীত
প্রযোজক মহেশ ভট্ট এবং সোনি রাজদানের বিবাহিত জীবন সাঁইত্রিশ বছরের। তাঁদের সম্পর্ক সোনি-মহেশের কন্যা অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট খোলা মনে গ্রহণ করতে পারলেও, মহেশের প্রথম স্ত্রী কিরণ ভট্টের সন্তান রাহুল ও পূজা ভট্ট মানতে পারেননি। বাবাকে কেড়ে নেওয়ার জন্য সোনির উপর ক্ষুব্ধ ছিলেন তাঁরা।
তাঁদের প্রেমকাহিনি আর পাঁচজনের মতো চেনা ছকের নয়। বিবাহবার্ষিকীতে সোনি লিখেছিলেন, “এক দিন হঠাৎ করেই আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে ফোন পাই। সে আমাকে মহেশ ভট্ট নামে এক জনের সঙ্গে দেখা করিয়ে দিতে চায়... আচ্ছা ছাড়ো, অনেক লম্বা গল্প। পরে কখনও বলব। আসল কথা হল এই যে, আমরা দেখা করলাম, প্রেমে পড়লাম, দীর্ঘ দিন ধরে একসঙ্গে রয়েছি। সত্যিই আমরা দীর্ঘ পথ হেঁটেছি।”
সোনি এবং মহেশের দুই সন্তান আলিয়া এবং শাহীন ভট্ট।
মহেশ যখন সোনির প্রেমে পড়েন, তখন তিনি কিরণ ভট্টের সঙ্গে দাম্পত্যে আবদ্ধ। কিন্তু এমনই গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁরা, যে পরস্পরের থেকে দূরে থাকতে পারেননি। অনুপম খেরের সঙ্গে ‘সারাংশ’ ছবিটির শুটিং চলাকালীন মহেশ এবং সোনির প্রথম দেখা। উল্লেখ্য, সোনিও এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।
এক সাক্ষাৎকারে মহেশ বলেছিলেন, “আমার জীবনের সমস্ত কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে সোনি মানিয়ে নিত। আমার মদ্যপানের অভ্যাস অত্যধিক বেড়ে গিয়ে প্রায় একটা রোগের পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, তখন আমি যা-ই করতে যাচ্ছিলাম পণ্ড হচ্ছিল। পাশে ছিল সোনি।”
আলিয়া কিছু দিন আগে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তাঁর মায়ের সঙ্গে বাবা জড়িয়ে পড়েছিলেন বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে। অভিনেত্রীর কথায়, “আমি এতে খারাপ কিছু দেখি না। জীবন সম্পর্কে আমার কোনও একমাত্রিক সাদাকালো ধারণা নেই। কখনও কখনও হিসাবের বাইরেও অনেক কিছু ঘটে। কিন্তু সব কিছু একটা নির্দিষ্ট কারণেই ঘটে।”
তবে আলিয়া এ-ও জানান যে, তিনি পরকীয়ায় ইন্ধন দিচ্ছেন না। শুধু বলতে চাইছেন যে, মানবচরিত্রের প্রকৃতি এমনটাই। তাঁর কথায়, “আমি মানুষের প্রকৃতি বুঝি। সব সময় ব্যাপারটা খুব সোজা হয় না। কিন্তু প্রেমের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা তো বার বার হয়েই থাকে। বিরল কিছু নয়।”
পূজা ভট্ট এবং রাহুল ভট্টর বিমাতা সোনি। এ প্রসঙ্গে মহেশ-পত্নী জানিয়েছিলেন, তাঁকে ‘সৎ মা’ বলা খুব ন্যায্য হবে না। রাহুল এবং পূজার তাঁকে মা হিসাবে কখনও প্রয়োজনও পড়েনি, কারণ তাঁদের তো চমৎকার মা রয়েছেনই।
মহেশকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁর প্রথম পক্ষের সন্তানদের সোনির প্রতি কোনও বিরক্তি বা খারাপ লাগা ছিল কি না, মহেশ জানান, “হ্যাঁ ছিল। তারা সোনিকে একজন প্রলুব্ধকারী, খারাপ মহিলা ভাবত, যে তাদের বাবাকে কেড়ে নিয়েছে।”
সোনি জানিয়েছিলেন, যখন মহেশের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়নি, সেই শুরুর দিনগুলোতে কিরণ ও তাঁর সম্পর্ক ছিল লড়াইয়ের, কিন্তু বিয়ের পর পরস্পরের সম্পর্ক ধীরে ধীরে ভাল হতে শুরু করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy