(বাঁ দিকে) প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। সলমন খান (ডানদিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ায় ‘ব্লাফ’-এর শুটিং করেছেন ‘দেশি গার্ল’ প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। এই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন মা মধু চোপড়া এবং মেয়ে মালতী মেরি চোপড়া জোনাস। প্রায় প্রতিদিনই সমাজমাধ্যম থেকে তিনি নানা খবর দিয়েছেন অনুরাগীদের। কখনও শুটিংয়ের কঠোর পরিশ্রমের কথা, কখনও বাড়ির ভিতরের দৃশ্য, কখনও মেয়ের হাত ধরে হাঁটার ভিডিয়ো, আবার কখনও নিজের ক্লান্তির কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
গত কয়েকদিনে প্রিয়ঙ্কা মেয়ের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কেও জানিয়েছেন ছোট ভিডিয়োতে। কখনও দেখা গিয়েছে, মালতী বিদেশি খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাচ্ছে একেবারে ভারতীয় রুটি। আবার কখনও ছোট্ট হাতে সে নিজেই বেলে নিচ্ছে আটার গুলি, ঠিক যেমনটা করে থাকে এ দেশের প্রায় সমস্ত শিশু। কখনও দেখা গিয়েছে রান্নাঘরে দেশীয় নানা পদ রান্না করছেন অভিনেত্রীর মা মধু। প্রিয়ঙ্কাকে আক্ষরিক অর্থেই বলা চলে ‘দেশি গার্ল’। এ বার আবারও তিনি সেই ইঙ্গিতই রাখলেন সমাজমাধ্যমে।
শেষ হতে চলেছে ‘ব্লাফ’-এর শুটিং। শনিবার ‘র্যাপ-আপ’-এর কথা জানিয়েছেন তিনি। একটি কাজ শেষ হচ্ছে, তাই খানিকটা ফাঁকা লাগার কথা। আবার দীর্ঘ দিনের পরিশ্রমের পর খানিকটা অবসরও পাচ্ছেন অভিনেত্রী। সেই নিয়েই একটি স্টোরি তিনি ভাগ করেছেন ইনস্টাগ্রামে। ভিডিয়োয় তিনি বলছেন, “র্যাপ পার্টিতে যেতে যখন দেরি হয়ে যায়, তখন আমি এই গানটি বাজাতে চাই, কেউ বুঝতে পারছেন?” এই সময় দেখা যায় গাড়িতে রয়েছেন তাঁর মা-ও। শুরু হয় একটি গানের আবহ।
স্টোরির পরবর্তী পর্যায়ে বেজে ওঠে গান। লতা মঙ্গেশকর ও এসপি বালসুব্রহ্মণ্যমের কণ্ঠে বাজতে শুরু করে ‘আ যা শাম হোনে আই...তু চল্ ম্যায় আই’। ঠোঁট মেলাতে দেখা যায় অভিনেত্রী ও তাঁর মাকে। শুধু তাই নয়, প্রিয়ঙ্কা এখানে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছেন ‘নব্বইয়ের দশকের শিশু’। উল্লেখ করেছেন ১৯৮৯ সালের ছবি ‘ম্যায়নে পেয়ার কিয়া’-র কথা। ভাগ্যশ্রী ও সলমন খানের এই ছবি আজও বলিউডের সেরা রোম্যান্টিক ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম। তারই গান বাজছে অভিনেত্রীর গাড়িতে। প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার জন্ম ১৯৮২ সালে। ফলে নব্বইয়ের দশকে তিনি শিশু হিসাবেই এই গান শুনে বড় হয়েছেন। পরবর্তীতে ‘মুঝসে শাদি করোগি’, ‘সালাম-এ-ইশ্ক’, ‘গড তুস্সি গ্রেট হো’-র মতো ছবিতে প্রিয়ঙ্কাকে দেখা গিয়েছে সলমনের সঙ্গে। বিদেশ বিভূঁইয়ে সলমনের প্রথম জীবনের ছবির গান চালিয়ে বর্ষণমুখর পরিবেশে যেন স্মৃতিমেদুরতার বাতাস বইয়ে দিলেন প্রিয়ঙ্কা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy