চব্বিশ বছর বয়সে দত্তক রেনে-কে। দশ বছর পরে পরিবারে আসে আলিশা। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়া
‘কোনও দয়া-দাক্ষিণ্য নয়। শিশুকে দত্তক নেওয়ার মানে হল মাতৃত্বের উদযাপন। এবং সিঙ্গল পেরেন্ট হয়ে দু’জন মেয়েকে দত্তক নেওয়া তাঁর বিচক্ষণতম সিদ্ধান্ত।’ হায়দরাবাদের এক অনুষ্ঠানে বললেন সুস্মিতা সেন। প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী জানিয়েছেন, দত্তক নেওয়ার ফলে তাঁর জীবন অনেক বেশি স্থিতিশীল হয়েছে। কোনও সেবামূলক কাজ নয়, বরং এভাবে তিনি সুরক্ষিত করেছেন নিজেকে। স্পষ্ট উত্তর বঙ্গতনয়ার।
বরাবরই ছক ভেঙে উজান স্রোতে এগোতে ভালবাসেন সুস্মিতা। ১৯৯৪ সালে মিস ইউনিভার্স হওয়ার ছ’ বছর পরে ২০০০ সালে বড় মেয়ে রেনেকে দত্তক নেন ২৪ বছর বয়সী সুস্মিতা। তার ১০ বছর পরে পরিবারে আসে ছোট মেয়ে আলিশা। দুই মেয়ের সঙ্গে নিজের ছবিতে ভরে থাকে সুস্মিতার সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল। জানিয়েছেন, মাতৃত্বের প্রতিটা মুহূর্ত উদযাপন করেন তিনি। মনে করেন, দত্তক নিয়ে মা হওয়া কোনও ছোট ব্যাপার নয়। কোনও মহিলা সন্তান ধারণ করলে মা ও সন্তানের মধ্যে প্রাথমিক সম্পর্ক তৈরি হয় আম্বিলিক্যাল কর্ডের মাধ্যমে। দত্তকের ক্ষেত্রে সেই সেতুবন্ধনের কাজ করে হৃদয়। সুস্মিতার বিশ্বাস, দত্তক নেওয়ার অর্থ, হৃদয় থেকে সন্তানের জন্ম দেওয়া। দুই মেয়েকেও সে ভাবে বুঝিয়েছেন সু্স্মিতা। বলেছেন, মায়ের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক হৃদয়ের, তাই অনেক গভীর।
সুস্মিতার বয়ফ্রেন্ড রহমান শোলের সঙ্গেও রেনে আর আলিশার সম্পর্ক খুব ভাল। মাঝে মাঝেই চারজন পাড়ি দেন একসঙ্গে ছুটি কাটাতে। বলিউডে গুঞ্জন, এ বছর শীতেই নাকি বিয়ে করছেন রহমান-সুস্মিতা।
আরও পড়ুন: মানুষের চোখ খুলে দেওয়ার দরকার আছে, কেন বললেন দেবেশ?
আরও পড়ুন : ‘প্রায় স্বাধীনতার সামিল’, কী দেখে বললেন ঋষি
তবে বড় পর্দায় অনেক দিন নেই সুস্মিতা। ২০১৫ সালে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ‘নির্বাক’-এ শেষ দেখা গিয়েছে তাঁকে। ১৯৯৬ সালে ‘দস্তক’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ অভিনেত্রী সুস্মিতার। ‘ম্যাঁয়নে প্যায়ার কিঁউ কিয়া’, ‘বিবি নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘ম্যাঁয় হু না’ তাঁর জনপ্রিয় ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy