মিথিলা-সৃজিত। নিজস্ব চিত্র।
দাদাগিরির সেট নয়, বিসিসিআই-য়ের মিটিংও নয়। নয় লর্ডসের মাঠ, অথবা বেহালায় দুই বাই ছয় বীরেন রায় ইস্টের দোতলা বাড়িটাও নয়, নীলচে ধূসর ব্লেজার আর টি-শার্টে স্বভূমির রাজকুটিরে হাজির হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতার বুকে তখন রাত্রি ঘনিয়েছে। মহারাজের পাশেই দাঁড়িয়ে পরিচালক রাজ চক্রবর্তী, অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত এবং বরখা বিস্ত সেনগুপ্ত —কোনও মিটিং নয়, সিনেমার শুটিং নয়, রীতিমতো গাছের তলায় দাঁড়িয়ে নির্ভেজাল এক আড্ডা।
এই অসম্ভবকেই সম্ভব করলেন ‘মুখার্জি কমিশন’। যার ইউজার নেম সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং পাসওয়ার্ড রফিয়াত রশিদ মিথিলা।
শর্বরী দত্তের ডিজাইনে বরবেশে সৃজিত। পরেছেন ধুতি আর আচকান। আচকানে সুতোর কাজে ফুটে উঠেছে ঘন জঙ্গল। তাঁর পরবর্তী ছবি ‘কাকাবাবু’র শুটিংশুরু হতে চলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। শোনা যাচ্ছে, ‘ওয়াইল্ড লাইফ’ দেখানো হবে সেখানে। পশু-পাখির ছবি আঁকা সেই আচকান পরে কি সেই ইঙ্গিতই দিয়ে দিলেন সৃজিত?
টিম ফেলুদা ফেরত
সবার সব আবদার মেটাচ্ছিলেন হাসিমুখে। উচ্চতা ভালই। তাই নিজেই ‘সেলফি স্টিক’ হয়ে রাখছিলেন সেলফির বায়নাও। ‘লাইট, ক্যামেরা অ্যাকশন’ থেকে বেরিয়ে সৃজিত তখন একেবারে ভিন্ন মেজাজে। মিথিলার বাপের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে রসিকতায় মজেছেন।ছুড়ে দিচ্ছেন মজা-ঠাট্টা। এ যেন নিতান্তই কোনও সেলিব্রিটি বৌভাত নয়। দুই বাংলার প্রকৃত অর্থে মিলন।
সৃজিতের আচকানের পাশে দ্বীপশিখার মতো জ্বলছিলেন পেটা জরি পাড়ের লাল আগুন, যাঁর নাম রফিয়াত রশিদ মিথিলা। মেয়ে আইরাকে নিয়েই সৃজিতের হাত ধরলেন তিনি। ‘বু’-র কাছে তখন ছোট্টআইরার হাজারও আবদার। আইরা আর মিথিলার পরিবারের ফাল্গুনের মিষ্টি বাতাসের মতো সৃজিত এল। ভালবাসাপেলনতুননাম।আর এই স্বীকৃতির জয়গানে বসন্তের কলকাতায় তখন নানা আবিরের ছটা। সেই আবিরের নানা রং- ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, মিমি চক্রবর্তী, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, তুহিনা দাস, সৌরসেনী মিত্র, ঊষসী চক্রবর্তী।
ঋতুপর্ণার সঙ্গে
রঙের খেলায় মাতলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, অনির্বাণ, টোটা, রুদ্রনীল, ঋদ্ধি সেন, উজান গঙ্গোপাধ্যায়েরা।সৃজিত-মিথিলার রিসেপশনে দেখা হল প্রাক্তনদেরও। একসঙ্গে ছবি তুললেন প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা। তাঁদের আসার সময়টাও ছিল কাছাকাছি। সন্দীপ্তার সঙ্গে এলেন রাহুল, আর প্রিয়ঙ্কাকে দেখা গেল তথাগত-র সঙ্গে।
রাতের সব তারাই সে দিন কলকাতার মাটিতে। সবুজ সিল্কের শাড়িতে এলেন অপর্ণা সেন। একটু দেরীতে সপরিবারে দেখা গেল পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়কে। খাওয়া-দাওয়ারও ছিল এলাহি আয়োজন। ডায়েট ভুলেছেন তারকারাও। পোলাও, ঠাকুর বাড়ির কষা মাংস, চিংড়ি, নলেন গুড়ের সন্দেশ—আরও কত কী...
দাদার সঙ্গে
আজ, রবিবারই কাকাবাবুর শুটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা চলে যাচ্ছেন সৃজিত। মিথিলার হাতেও রয়েছে কাজ। তিনিও উড়ছেন বিদেশে। ব্যস্ততার রুটিন থেকে পাওয়াসৃজিত-মিথিলার স্বল্প অবকাশে এক হল টলিপাড়া থেকে ক্রিকেট। সৌজন্যে সৃজিত মুখোপাধ্যায় এবং রফিয়াত রশিদ মিথিলা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy